ঠিক কী ঘটেছিল SSKM হাসপাতালে?
দুর্ঘটনায় আহত এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় SSKM হাসপাতালে। মহম্মদ ইরফান নামে এক রোগীর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের লোকজন। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্র লেখাকে কেন্দ্র করে বচসায় জড়িয়ে পড়ে রোগী পরিবার এবং দুই চিকিৎসক। উত্তাল হয়ে ওঠে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। ওই দুই চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে বলেও রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ। SSKM-এর মতো মাল্টি স্পেশালিটি এবং ব্যস্ততম হাসপাতালে এ হেন ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়ে যায় কর্তৃপক্ষও।
কী প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)?
রবিবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) এই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দিল্লির উড়ান ধরার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা দর্ঘটনার কেস ছিল। সেই সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে দু’জন জুনিয়ার চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের মারধর করা হয়ে বলে শুনেছি। এই ধরণের ঘটনা অনভিপ্রেত। আমরা অনেক টাকা খরচ করে SSKM হাসপাতালে সেরা ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরি করে দিয়েছি। শুনেছি সে সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল না। SSKM হাসপাতালে পুলিশের নির্দিষ্ট ক্যাম্প রয়েছে। কেন সেখানে পুলিশ ছিল না, জানতে চেয়েছি। এটা অন্যায়। পুলিশ থাকলে দু’পক্ষ এভাবে বচসায় জড়িয়ে পড়তে পারত না। পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছি, কেন তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। পুলিশের নিঃসন্দেহে গাফিলতি ছিল। আমরা জুনিয়র চিকিৎসকদেরন নিরাপত্তা দেব।”
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীর মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেট লেখার সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলে খবর। ভেঙে ফেলা হয় এক্স রে মেশিনও। খবর পেয়ে মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ। তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।