সেরাজ্যে খনিজ তেল ছাড়াও অন্য কোন খনিজ সম্পদ রয়েছে কিনা তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন ONGC-র গবেষকরা। এর পাশাপাশি ভূপতিনগরে থাকা খনিজ তেলের পরিমাণ সম্পর্কেও আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করেছে ONGC। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় খনিজ তেল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে আরও একবার খনন করে দেখা হবে। ONGC-র দাবি সাফল্যের মুখ দেখলে তা নিঃসন্দেহে বাংলার জন্য বিরাট খুশির খবর। এই খনি থেকে তেল উত্তোলন চালু হলে অর্থনৈতিক ভাবেও রাজ্যের উন্নতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২০ সাল থেখে বাণিজ্যিকভাবে অশোকনগর বাইগাছিতে খনিজ তেল উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর সেখানকার দৌলতরপুর থেকে তেল উত্তোলন শুরু হয়েছে। অশোকনগরে একের পর এক খনিজ ভাণ্ডারের হদিশ মেলায় সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগণার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলা প্রশাসনকে সবরকমভাবে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ONGC সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা সংলগ্ন এলাকা সন্ধান চালাতে গিয়ে, ভূপতিনগরে তেলের সন্ধান মেলে। সংশ্লিষ্ট এলাকা খনন করার জন্য স্থানীয় চাষিদের থেকে জমি লিজ নেওয়া হবে।
অশোকনগরে প্রথম বাইগাছিতে খনিজ ভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তেল উত্তোলনের সময় দৌলতপুরের আরও খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক ভাণ্ডারের খোঁজ মেলে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, গোটা দেশ জুড়ে খনিজ ভাণ্ডারের সন্ধান চালাচ্ছে ONGC। এই জন্য আগামী তিন বছররের জন্য ৩১,০০০ কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে। অশোকনগরের পর ভূপতিনগর থেকে যদি খনিজ তেল উত্তোলন শুরু হয়, তবে রাজ্যের অর্থনীতিতে ব্যাপক বদল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।