স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর (Medinipur) শহরের নগার চক এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ (Kotwali Police Station)। ক্ষিপ্ত জনতার থেকে উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে যায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে। স্থানীয়রা প্রথমে আটক করে ওই ব্যক্তিকে। এরপর ওই ব্যক্তির ঝোলা থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু চকলেট এবং একটি ছুরি। জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপরই রীতিমত গণধোলাই দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। এখনও পর্যন্ত মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) কোতোয়ালি থানাতেই পুলিশের সেফ কাস্টাডিতে রয়েছে ওই ব্যক্তি। তবে ছেলে ধরার বিষয়টি পুরোপুরি গুজব বলে অনুমান পুলিশের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সঠিক কোনও তথ্য দিতে পারেননি। ওই ব্যক্তি কোথায় থাকেন, কী উদ্দেশ্যে এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সে ব্যাপারে সন্দেহজনক উত্তর দেন ওই ব্যক্তি। এরপরেই ছেলেধরা সন্দেহে ওই ব্যক্তির উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিন কয়েক আগেই মেদিনীপুর সদর ব্লকের নেপুরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় পাঁচ বছরের অরণ্য মাঝি। এরপর থেকেই শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় বেশ কিছু গুজব ছড়াতে দেখা যায়। যদিও পুলিশের তরফ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, গুজব ছড়ালেই নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ। তবে প্রত্যেকে সচেতন থাকার বার্তাও দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগেই গুড়গুড়িপাল থানা এলাকায় এক নাবালকের নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মেদিনীপুরে। গত ২৩ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ির সামনে খেলতে খেলতেই হঠাৎ নিখোঁজ (Child Missing) হয়ে যায় বছর পাঁচেকের অরণ্য মাঝি। বাড়ির আশেপাশে সমস্ত জায়গায় খোঁজ চালিয়েও কোনও খোঁজ না মেলায় গুড়গুড়িপাল থানায় (Gurguripal Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, অপহরণ করা হয়েছে শিশুকে।