West Bengal Tourism : নতুন করে সাজানো হচ্ছে গনগনিকে – west bengal tourism west medinipuir gangani is being redecorated for attracting tourists


সমীর মণ্ডল, মেদিনীপুর:
Gangani West Bengal : পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গড়বেতার গনগনিকে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কটেজ, ওয়াচ টাওয়ার, ফুড কোর্ট, কংক্রিটের ছাতা ইত্যাদি। শীতের মরসুম শুরু হতেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে গনগনিতে। শীঘ্রই অনলাইনের মাধ্যমে কটেজ বুকিংও চালু হয়ে যাবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। গনগনির পর্যটন ঘিরে হোম-স্টে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, ‘গনগনির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছেই। সারা বছর বহু মানুষ গনগনিতে আসেন। পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তরের সহযোগিতায় পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য কটেজ তৈরি হয়েছে। যে কটেজগুলি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে বুকিং খুব তাড়াতাড়ি চালু হয়ে যাবে। তাছাড়াও জেলার পর্যটন স্থানগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে হোম-স্টে সমেত নানা ধরনের কাজ করা হচ্ছে।’

Karnagarh Mandir Resort : হেরিটেজ কর্ণগড়ের ‘অলঙ্কার’ সরানোর চেষ্টা! গ্রামবাসীদের বাধায় ফিরতে হল খালি হাতেই
ক’দিন আগেই খড়্গপুরে এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে গনগনি পর্যটন প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গনগনিতে পর্যটকরা আসেন বছরের বিভিন্ন সময়। শীতের মরসুমে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা পিকনিক করতে ভিড় জমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া গড়বেতার শিলাবতী নদীর তীরে গনগনিতে। আরও যাতে বেশি বেশি করে পর্যটকরা আসেন, পর্যটনের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি যাতে হয়, সে ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গনগনি ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরে এলে পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারবেন, আড়াবাড়ি জঙ্গল, শালবনির কর্ণগড়, গোপগড় ইকোপার্ক, গুড়গুড়িপাল ইকোপার্ক, মন্দিরময় পাথরা, পটচিত্রের গ্রাম পিংলার নয়া, দাঁতনের মোগলমারি, ক্ষুদিরামের গ্রাম মোহবনি, বিদ্যাসাগরের গ্রাম বীরসিংহ। কলকাতা থেকে গড়বেতার গনগনির দূরত্ব বড়জোর ১৫০ কিলোমিটার। সড়ক পথ ও রেল পথে আসা যায় গড়বেতায়। গড়বেতা স্টেশন থেকে কিছুটা দূরেই শিলাবতী নদীর তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই স্থানটি। এই জায়গাটি অনেকের কাছে গনগনিখোলা ও গনগনিডাঙা নামেও পরিচিত।

Kanchenjunga : শীতের শুরুতেই খিলখিলিয়ে হাসছে পাহাড়, দার্জিলিঙে পর্যটকদের বাড়তি পাওনা ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা
কী দেখতে পাবেন গনগনিতে?
গনগনিতে দেখা যাবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। হাজার হাজার বছর ধরে লাল কাঁকুরে মাটি ক্ষয় হতে হতে সৃষ্টি হয়েছে গিরিখাত! যার গভীরতা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট। লোক বিশ্বাস, রাক্ষস বকাসুর এবং ভীমের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধের ফলে নাকি এই ভূপ্রকৃতির সৃষ্টি। একদিকে মাটি ক্ষয়ে তৈরি গিরিঘাত, অন্যদিকে শিলাবতী নদী। বিকেলে সূর্যাস্ত, রাতের নির্জন পরিবেশ মন ভরিয়ে দেয় পর্যটকদের। গনগনির আশপাশে রয়েছে গভীর বনাঞ্চল। প্রাচীন টেরাকোটার মন্দিরও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *