সকাল ৬টা রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রেল পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে স্টেশন চত্বরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। রেল রোকো আন্দোলনের জেরে বেশ রেল চলাচলে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।
নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সবসাচী দে প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, রেল রোকো আন্দোলনের ফলে হাওড়া-ডিব্রুগড় কামরূপ এক্সপ্রেস (15961 Howrah – Dibrugarh Kamrup Express), দিল্লি-কামাক্ষা ব্রহ্মপুত্র মেল, শিয়ালদহ-বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (13147 Sealdah – Bamanhat Uttarbanga Express), দেওঘর-আগরতলা এক্সপ্রেসের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। রেল রোকো আন্দলনের কারণে নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ বনগাইগাঁও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নিউ বনগাইগাঁও-নিউ জলপাইগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের গতিপথ নিউ কোচবিহার স্টেশন অবধি সীমিত করা হয়েছে।
নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনে এই আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আন্দোলনকারীদের দেখা মেলেনি। যার ফলে কোচবিহারে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, কামতাপুর পিপলস পার্টি ( ইউনাইটেড)-র কোচবিহারের জেলা সভাপতিকে সোমবার রাতেই আটক করেছিল পুলিশ। অন্যদিকে মালদা ডিভিশনের রেল চলাচলেও অবরোধের কোনও প্রভাব পড়েনি। সেখানকার পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।
শেষ পাওয়া খবর থেকে জানা গিয়েছে, নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে অবরোধের মুখে পড়া কলকাতা গামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্য পড়তে হয়েছিল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগদ DRM পীযূষ পাণ্ডে এসে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরামের চেয়ারম্যান নিখিল রায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবি কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপরই অবরোধ উঠে গিয়েছে।