Purba Medinipur : এখনও ছাদে শুকোয় গয়নাবড়ি, GI ট্যাগের আশায় পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ – goyna bori made by purba medinipur district locals expects gi tag


West Bengal Local News হাল্কা শীত গায়ে মেখে বাড়ির উঠোনে বা বাড়ির ছাদে চলছে বড়ি তৈরির কাজ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ‘গয়নাবড়ি’র (Gohona Bori) খ্যাতি সর্বত্র। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাংলার রসগোল্লা GI স্বীকৃতি লাভ করলেও গয়না বা নকশা বড়ি GI স্বীকৃতি মেলেনি। আশায় রয়েছে গোটা জেলার মানুষ।

Music Therapy : মনে জানলা খুলুন! তমলুকের কলেজে চালু মিউজিক থেরাপি
বিভিন্ন ধরনের বড়ি থাকলেও গয়না বড়ি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় প্রস্তুত একটি অতি জনপ্রিয় খাদ্যবিশেষ। এটি নকশাবড়ি (Naksha Bori) নামেও পরিচিত। বিউলির ডাল, পোস্ত ও বিভিন্ন ধরণের মশলার সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয়। গয়নার মত সূক্ষ্ম নকশা সমন্বিত অতি দৃষ্টিনন্দন একপ্রকার বড়ি বিশেষ। গয়না বড়ি বহু শতাব্দী প্রাচীন একটি কুটির শিল্প, যা সাধারণত বাড়ির মহিলারা প্রস্তুত করে থাকেন। ২০১৬ সালে IIT খড়গপুর গয়না বড়ির ভৌগোলিক উপদর্শন শংসাপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জেলার সব থেকে বেশি গয়না বা নকশা বড়ি তৈরি হয়ে থাকে মহিষাদল, নন্দকুমার, হলদিয়ায়। বানিজ্যিক ভাবেও ব্যপক সাড়া পড়েছে। বর্তমান সময়ে বাড়ি বাড়ি বড়ি তৈরির প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেলেও দোকানে দোকানে ব্যবসায়িক বড়ি মিলছে। বাজারে দোকানে দোকানে ঝুলছে গয়না বা নকশা বড়ির প্যাকেট।

Poppy Cultivation : অভিযান চলছেই, দাঁড়ি পড়ছে না পোস্ত চাষে
গয়না বড়ির মূল উপকরণ বিউলি ডাল ও পোস্ত। বিউলি ডালকে অঞ্চলভেদে বিরিকলাইও বলা হয়। এছাড়া লাগে সামান্য তেল। রঙীন বা মশলাদার বড়ির জন্য প্রয়োজন বাড়তি উপকরণ। গয়না বড়ি সাধারণতঃ কাঁসার থালায় দেওয়া হয়। বড়ি দেওয়ার জন্য লাগে একটি মাঝারি আকারের রুমালের মত একটুকরো মোটা কাপড়, যার মাঝখানে থাকে একটি বৃত্তাকার ছিদ্র। ছিদ্রটিকে প্রকৃত বৃত্তাকার রাখার জন্য বৃত্তের পরিধি বরাবর সেলাই করে নেওয়া হয়। এই কাপড়কে পুঁটলি বলা হয়। কোনো কোনো জায়গায় ওই ছিদ্রের মধ্য দিয়ে গলিয়ে দেওয়া হয় একটি ধাতব চোঙ যাকে বলা হয় ‘চোঙপুঁটুলী’। এছাড়া লাগে একটি নারকেল পাতার পরিষ্কার কাঠি।

World Bank : পূর্ব মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত পরিদর্শনে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি দল, কী জানাল তারা?
স্থানীয় বড়ি প্রস্তুতকারী সুমিতা মণ্ডল জানান, “আগে বাড়িতে বাড়িতে দেখতাম শীতের সকালে মা-কাকিমা, জ্যেঠিমারা বড়ি তৈরি করতো আর তার চারপাশে পরিবারের খুদেরা দেখার জন্য ভিড় জমাতো। কিন্তু বর্তমান ব্যস্ততার সময়ে কোথায় যেনো হারিয়ে যেতে বসেছে সেই বড়ি তৈরি প্রবণতা।” অন্যদিকে, দোকানে বড়ি বিক্রেতা সঞ্জয় দাস জানান, আগের থেকে চাহিদা বেড়েছে বড়ি কেনার। বিভিন্ন ধরনের বড়ির সম্ভার তুলে ধরেছি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *