পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে রেল রোকো কর্মসূচি উত্তরবঙ্গের তিন জায়গায়। ১২ ঘণ্টার রেল রোকোর ডাক দিয়েছে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি যৌথমঞ্চ। আর তার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন।

হাইলাইটস
- পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে রেল রোকো কর্মসূচি উত্তরবঙ্গের তিন জায়গায়
- কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি যৌথমঞ্চের ডাকে ১২ ঘণ্টার রেল রোকো কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে
- এর জেরে বিভিন্ন প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রেন, হয়রানির শিকার যাত্রীরা
৬ ডিসেম্বর রেল রোকোর কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র চন্দন সিং। সেখানেই রেল রোকো কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “কামতাপুর আলাদা রাজ্যের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু, এই বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পূর্ণ উদাসীন। সেই কারণে ফের আন্দোলনের পথে হাঁটছি আমরা। তার জেরেই ১২ ঘণ্টার রেল রোকোর ডাক দেওয়া হয়েছে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির তরফে।”
সেই মতো আলাদা কামতাপুর (Kamtapur) রাজ্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গে শুরু হল রেল অবরোধ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। সেই মতো পতাকা হাতে নিয়ে রেল অবরোধে নামেন সংগঠনের সদস্যরা। তবে রেল রোকোর ডাক দিলেও এদিন সকাল থেকেই নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনে আন্দোলনকারীদের দেখা মেলেনি। ফলে রেল পরিষেবা এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে কোচবিহারে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই কামতাপুর পিপলস পার্টি (ইউনাইটেড) এর জেলা সভাপতিকে পুলিশ আগেই আটক করেছে। যদিও সেই আটক করার বিষয়টি পুলিশের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে। তবে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে নিউ কোচবিহার রেলস্টেশনে।
কখনও পৃথক উত্তরবঙ্গ, কখনও গোর্খাল্যান্ড, আবার কখনও আলাদা কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে বারবার উত্তরবঙ্গের মাটিতে আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু, কোনওরকম বিচ্ছিন্নতার রেশ যাতে না পড়ে সেখানকার জনজীবনে, তার জন্য সদাসতর্ক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয়রা বার বার ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ফের একবার পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হল কামতাপুরীরা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ