পুলিশ সূত্রে খবর, নারায়ণগড়েরই এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রথমে পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে এই অভিযুক্ত যুবক। এরপর চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ (Interview)-এর নাম করে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে যুবক। তরুণীর আরও অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে দীর্ঘদিন ধরেই ব্ল্যাকমেল করছিল ওই যুবক। অবশেষে যুবকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলতি বছর অক্টোবর মাসে নারায়ণগড় থানার (Narayangarh Police Station) দ্বারস্থ হয় ঐ তরুণী। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে সোমবার সকালে ধৃতকে গ্রেফতার করে নারায়ণগড় থানার পুলিশ (Narayangarh Police Station)। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৭৬, ৫০৬, ৩৭৯ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার রুজু করে পুলিশ।
সরকারি আইনজীবী বন্দনা ঘোষ জানিয়েছেন, ধৃতকে সোমবার দুপুরে খড়গপুর মহকুমা আদালতে (Kharagpur Sub Divisional Court) পেশ করা হলে ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ধরনের প্রতারণা আরও অন্য কারো সঙ্গে ওই যুবক করেছে কিনা তদন্তে নেমে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। ওই তরুণী জানিয়েছেন, চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রথমে ওই যুবক পরিচয় বাড়িয়ে তোলে। এরপর ভালো বেতনের চাকরি পাইয়ে দেবে বলে ওই যুবক কিছু টাকা দাবি করে। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে সামান্য আপত্তি থাকলেও চাকরির লোভে সেই টাকা দিয়ে দেয় ওই নিগৃহীতা মহিলা।
প্রথমে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবকটি। দীর্ঘদিন চাকরির ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করছিল না ওই অভিযুক্ত যুবক। এরপর একদিন ইন্টারভিউয়ের নাম করে ওই মহিলাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে সেই সময় কিছু জানানো ওই নিগৃহীতা মহিলা। প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি, গোপন মুহূর্তের ছবি ক্যামেরা বন্দী করে রেখেছে ওই যুবক। সেই ছবি দিয়ে এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। যুবকের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিগৃহীতা মহিলা।