সাঁতরাগাছি ব্রিজ মেরামতির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পূর্ত দফতরের এক ঠিকাকর্মী। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
হাইলাইটস
- সাঁতরাগাছি ব্রিজে মেরামতির কাজ চলাকালীন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পূর্ত দফতরের এক ঠিকা কর্মী
- ওই ঠিকা কর্মীর দুটি হাত জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে
- এই মুহূর্তে ঠিকা কর্মীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে
ঠিকাকর্মীর কী হয়েছিল?
সাঁতরাগাছি ব্রিজে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিজে রাতের কাজের জন্য আলোর ব্যবস্থা থাকে। দিনে সেই আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ব্রিজের উপর বৈদ্যুতিন আলোর সংযোগ খোলার সময় কোনও ভাবে বিদ্যুতের একটি তার ব্রিজের নীচে ঝুলে পড়েছিল। ব্রিজের নীচে থাকা রেলের ওভারহেড লাইনের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে কোনও ভাবে ঝুলন্ত তারের সংযোগ ঘটে। তার ফলে ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই ঠিকাকর্মী। তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত নিরঞ্জন দাস নামে ওই কর্মার দুটি হাত গুরুতর জখম হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন অবশ্য স্থিতিশীল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, ব্রিজের উপর কর্তব্যরত কর্মীদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটতে পারে। কাজ করার সময় তাঁদের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।
সাঁতরাগাছি ব্রিজের মেরামতি
এদিকে সাঁতরাগাছি ব্রিজ বন্ধ হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। সাধারণত প্রতিবছর এই সময় প্রচুর মানুষ পিকনিক বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য এই রেল ওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন। বিশেষ করে শীতের ছুটিতে অনেক মানুষ দিঘা, মন্দারমণি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, শান্তিনিকেতন এবং মাইথন বাঁধের মতো জায়গায় যান। এছাড়া সাঁতরাগাছি সেতু হল কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বইগামী জাতীয় সড়কের মধ্যে প্রধান সংযোগকারী সেতু। ফলে এই সেতুর উপর দিয়ে দৈনিক ৭০ হাজার গাড়ি চলাচল করে। তার মধ্যে প্রচুর মালবাহী গাড়িও থাকে। তাই এই সেতুর উপর প্রতিদিন অনেকটা চাপ পড়ে যায়। তার জেরেই সেতু মেরামতির কাজ করা হচ্ছে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ