কী রয়েছে সেখানে?
দেখা যাচ্ছে, তালিকায় দশ জন শূন্য পেয়েছে। কিন্তু, SSC-র তালিকায় তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। অন্য দশ জনের ক্ষেত্রে এক বা দুই পেলেও SSC-র তালিকায় তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৫১ বা ৫২। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরাও আদতে এক দুই পেলেও এসএসসির তালিকায় তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯। এই অবস্থায় আজই (মঙ্গলবার) এই ২০ জনের নাম, রোল নম্বর সহ তালিকা প্রকাশ করবে SSC। যাদের নাম প্রকাশ হচ্ছে তারা মামলায় যুক্ত হতে চাইলে লিখিতভাবে নিজেদের প্রাপ্ত নম্বরের নথি সহ ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারবে, জানিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ১৬ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে SSC (স্কুল সার্ভিস কমিশন )-এর মাধ্যমে রাজ্যে কমপক্ষে ২১ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, হাইকোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে CBI-এর পক্ষ থেকে। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীও এর মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য তদন্তকারীদের। সোমবার CBI-এর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রধান অশ্বিন শেনভি আদালতে হাজির হয়ে এই তথ্য জানান। অন্যদিকে, এই মামলায় ১৮৩ জনকে র্যাঙ্ক জাম্প করিয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল বলে বলে জানিয়েছিল SSC।
তাঁদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। CBI-এর তরফে জানানো হয়, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও আইনই মেনে চলা হয়নি। আসল প্যানেল এবং ওয়েটিং লিস্ট সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ফলত যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে তারা যে সম্পূর্ণভাবে যোগ্যতার ভিত্তিতেই সেখানে রয়েছে, তা বলা যাবে না। এদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কাউকে রেয়াত করা হবে না, স্পষ্ট জানানো হয় আদালতের তরফে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।