স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ এই শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দা গ্রামে গুলি চলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি সাজ্জাত মণ্ডলের বাড়ি নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও এক যুবক। যুবকের নাম শারফুদ্দিন লস্কর। আহত ব্যক্তির বাড়ি নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হিমচি এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা তাঁরা একটি মেলাতে গিয়েছিল। রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই দুজনের পরিবারের কাছে খবর আসে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। দ্রুত তাঁদেরকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে (Baruipur Sub Divisional Hospital) নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানে চিকিৎসকরা সাজ্জাত মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ যুবক শারফ উদ্দিন লস্করকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শ্যুট আউটের ঘটনায় বলাই নামে একজন যুক্ত আছে বলে জানান, গুলিবিদ্ধ যুবক শারফুদ্দিন লস্কর। কিন্তু কী কারণে এই শ্যুট আউট তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ (Baruipur Police Station)।
সাজ্জাত-এর এক আত্মীয় জানান, সাজ্জাত এবং শারফুদ্দিন দুজনে বন্ধু ছিল। এর মধ্যে সাজ্জাত চাষবাস করতো। ঘটনার তাঁরা দুজনে মেলায় যায়। মেলা থেকে ফেরার পথে মদ্যপান করে। এরপর বাড়ি ফেরার পথে তাঁদেরকে গুলি করা হয়। সাজ্জাতের বুকে গুলি লেগে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। শারফুদ্দিনের কোমরের পাশ দিয়ে গুলি ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা রক্ষা হয়। শারফুদ্দিন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কোনও ব্যক্তিগত বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণে এই শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতেই শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদ বাজারের হাবরা পাহাড়ি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ধনু সেখ (৪৫) হাবড়াপাহাড়ির একটি খাদানে কাজ করত। এদিন রাত্রে ধনু এবং স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষক ধনা হাঁসদা হাবড়াপাহাড়ির একটি ক্লাবের পাশে বসেছিল। সেই সময় একজন সাইকেলে করে এসে গুলি করে বলে অভিযোগ।