স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ের (Bhangar) বড়ালী গ্রামের একজনের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফজল করিমের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রায় ১২ রাউন্ড মতন গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর এখনও তাজা বোমা পড়ে আছে এলাকায়। ভাঙড়ের বড়ালী গ্রামের ঘটনায় উঠে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়।
তৃণমূল নেতা ফজলে করিম জানান, গতকাল রাতে হঠাৎ তিনি গুলির আওয়াজ শুনতে পান। পরে বুঝতে পারেন তাঁকে মারার উদ্দেশেই তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। খাটের নিচে ঢুকে গিয়ে প্রাণ বাঁচান ফজল করিম। দরজা জানালার পাশাপাশি খাটের একাধিক জায়গাতে গুলির দাগ রয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী রাতেই ফজলে করিমের বাড়িতে আসে। ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে একাধিক গুলির খোল উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার। কয়েকদিন আগেই ভাঙরের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল এই ফজলে করিম। তাই তার বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি ISF এর সঙ্গে ভাঙড়ের (Bhangar) দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদের (Kaizer Ahmed) যোগযোগের একটি অডিয়ো ক্লিপিং ভাইরাল হয়। সেখানে একটি কোটি টাকার বিনিময়ে ISF এর টিকিট কাইজার আহমেদ চাইছেন বলে দাবি৷ মিলেছে বলে দাবি করে আসরে নাম তৃণমূল কংগ্রেসেরই একটি গোষ্ঠী৷ কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে সেই সময় মুখ খোলেন প্রাণগঞ্জের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিম। সেই কারণেই তাঁর উপর এরকম আক্রমণ চালানো হল বলে দাবি করেছেন ফজলে করিম। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।