পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়া থানার ওয়াই রোডের বাসিন্দা পায়েল চৌধুরী প্রত্যেক দিনের মতো এদিনও অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরন৷ এরপর ইছাপুরে বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷ সেসময় আচমকা একটি দুধের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়৷ ওই যুবতীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়রা৷ সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে স্থানীয় লোকেরা উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা পরিবার। এলাকার বাসিন্দারাও এই ঘটনায় মর্মাহত৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা রীনা ধর কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক৷ এখানে দীর্ঘদিন ওরা ভাড়া আছে৷ ওকে এখানে জন্মাতে দেখেছি৷ আজ ওর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আর কিছু বলার ভাষা নেই৷’’ এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ছোট থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি৷ আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম৷ ফেসবুকে এখন প্রায়ই যোগাযোগ হয়৷ আজ অফিস যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল৷ একটি দুধের গাড়ি ধাক্কা মারে তাতেই ওর মৃত্যু হয়৷ ভীষণ খারাপ লাগছে৷’’
এই ঘটনায় ইছাপুরের কাঁটাপুকুর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘাতক দুধের গাড়িটি ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় থানায়৷ ঘাতক দুধের গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং আবারও যান চলাচল শুরু হয় ওই রাস্তায়৷