কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের স্বনির্ভরতা বাড়াতে মাছের যোগান যাতে বাড়ানো যায়, তার জন্য লক্ষাধিক মাছের চারা ছাড়া হল গঙ্গায়।

হাইলাইটস
- মৎস্যজীবীদের জন্য বীমার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
- ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের মাধ্যমে রাজ্যের তিন জেলার মৎস্যজীবীদের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চলছে।
- মাছের যোগান যাতে বাড়ানো যায়, তার জন্য লক্ষাধিক মাছের চারা ছড়ানো হল গঙ্গায়।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (Central Inland Fisheries Research Institute) তাদের প্রথম ন্যাশনাল রাঞ্চিং প্রোগ্রাম ২০২২ চালু করে। হুগলি জেলার বলাগড় থানার (Balagarh Police Station) অন্তর্গত বলাগড়ের গঙ্গা তথা ভাগীরথী হুগলি নদীতে সামগ্রিক মৎস্য বিকাশের জন্য ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচির অধীনে একটি গণ-সচেতনতা কর্মসূচী এবং মৎস্য পুনর্জীবীকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এনএমসিজির পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হলো, গঙ্গা নদীর মৎস্য বৈচিত্রের অনুসন্ধান। মূল্যবান রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস-এর মজুত সমীক্ষা মূল্যায়নের পাশাপাশি নির্বাচিত মৎস্য প্রজাতির বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ এই প্রকল্পের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য।

‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচিতে বলাগড়ে ছাড়া হল লক্ষাধিক মাছের চারা
এদিন মাঝ নদীতে ট্রলারে করে গিয়ে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মাছের চারা ছাড়েন মৎস্য আধিকারিক সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা। এছাড়াও গঙ্গা নদীর ডলফিন নিয়েও সচেতন করা হয় স্থানীয় মৎস্যজীবীদের। জলজ পরিবেশে শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিন-এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোকপাত করেন আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন, সিআইএফআরআই (CIFRI) নির্দেশক ড: বসন্ত কুমার দাস, মৎস্য বৈজ্ঞানিক শ্রী মীতেশ রাম টেকে, বিকাশ কুমার সহ বিশিষ্টরা।

‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচিতে গঙ্গায় ছাড়া হচ্ছে মাছের চারা
এদিন এর এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে ড,বসন্ত কুমার দাস জানান, গঙ্গা নদী থেকে ৬০ লক্ষ মাছ ছাড়া হয়েছে। আজ প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মাছ ছাড়া হয়েছে। এর ফলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে এবং গঙ্গার যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা রয়েছেন, তাঁরা স্বনির্ভর হবেন। ভারত সরকারের ‘নমামি গঙ্গে’ (Namami Gange) প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে এই কাজ চলছে। মাঝেমধ্যেই গঙ্গায় ডলফিন ও শুশুকের দেখা পাওয়া যায়। তাদের না মারার জন্য মৎস্যজীবীদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্যজীবী পরিবারের এক গৃহবধূ সরস্বতী বিশ্বাস জানান, সারা বছর গঙ্গায় মাছ ধরেই জীবিকা অর্জন করেন তাঁরা। তবে এই মুহূর্তে গঙ্গায় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ঠিকভাবে সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। গঙ্গায় মাছ ধরেই চলে সংসার। গঙ্গায় মাছ ছাড়ার ফলে মৎস্যজীবীদের অনেকটা উপকার হবে বলে জানান তিনি।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ