
অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎই বচসায় জরায় শাসক দলের দু’পক্ষ। বিবাদে জড়ায় এলাকার বুথ সভাপতি শেখ আক্তার আলীর অনুগামীদের সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলামের অনুগামীরা। এরই মাঝে সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। লাঠি বাস নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক সময় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মেদিনীপুর (Medinipur) সদর ব্লকের পাঁচখুড়ি এলাকা। এলাকার দখল কার হাতে থাকবে এ নিয়ে বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাসক শিবির। মঙ্গলবারও এলাকার দখলকে কেন্দ্র করেই কোন্দল বলে দাবি আহত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের। এই ঘটনায় মাথা ফেটেছে দুই তৃণমূল কর্মীর, হাত ভেঙেছে আরও একজনের। গুরুতর চোট নিয়ে পাঁচজনকেই ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medinipur Medical College & Hospital)। ঘটনাস্থলের হাজির হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার (Kotwali Police Station) পুলিশ।
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিবাদের ঘটনাকে নিয়ে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “গ্রাম্য বিবাদ বলে অশান্তি হয়েছে শুনেছি। এখন তো সবাই তৃণমূল। তাই দলের কেউ থাকতেও পারে। তবে যদি দলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে দল নিশ্চিত ব্যবস্থা নেবে।” BJP-র জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “তৃণমূলে এ আর নতুন কী। কোথাও বোমা বাঁধতে গিয়ে বোমা ফেটে মানুষ উড়ে যাচ্ছে। আর কোথাও এলাকা দখলের লড়াই করছে নিজেদের মধ্যে। আসলে এলাকা দখল মানে তোলা তোলার লড়াই। কার পকেটে কত কাটমানি ঢুকবে।”
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলায় কেশপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) কারণে এলাকায় একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। তখনই হঠাৎ তৃণমূল কর্মীদেরই লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে অপর এক গোষ্ঠীর লোকজন। বোমার আঘাতে জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আসে পুলিশ বাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে কেশপুরে বারবার শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। অতি সম্প্রতি কেশপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
