পিয়ালি মিত্র: প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছে ইডি। পাশাপাশি, ইডির পেশ করা চার্জশিটে তাপস মন্ডল সহ আরও ২ সংস্থার নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। মোট ৬ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর গ্রেফতার হন মানিক ভট্টাচার্য। ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল ইডি। মোট ১০৭ পাতার চার্জশিট। চার্জশিটে ৫০ জন সাক্ষীর বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে।
১০ অক্টোবর ম্যারাথন জেরার পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সেদিন দুপুর ১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানেই সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী আধিকারাকিরা। বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারির আগে মানিক ভট্টাচার্যের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। বেপাত্তা মানিকের নামে লুক আউট নোটিসও জারি করেছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশ পাঠানোর কাজ মানিক ভট্টাচার্য করতেন বলে অভিযোগ। এমনকি ঘুষের টাকা নিয়ে তা পার্থ-অর্পিতার কাছে পাঠাতেন বলেও সূত্রের খবর। খোদ বার্ক কমিটির রিপোর্টেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একাধিকবার মানিককে তলব করা হয়। কিন্তু কখনও আদালতের রক্ষাকবচ দেখিয়ে কখনও আবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান মানিক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন, অবসরকালীন প্রাপ্য আটকে ৩ বছর, বিচারপতি নির্দেশ দিতেই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্টে ঢুকল টাকা!
তবে শেষমেশ ইডির তলবে দফতরে হাজিরা ও ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতারি। শুধু প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতিই নয়, নদিয়ার বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের প্রাইমারিতে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা করার পাশাপাশি, টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, Primary TET: বাতিল হতে পারে ২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল!