সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি বুথে ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ ভোট পাওয়ার টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। তৃণমূলের সব ভোটই পাওয়া উচিত বলে দাবি, কুণাল ঘোষের।

হাইলাইটস
- প্রতিটি বুথে 51 থেকে 100 শতাংশ ভোট পাওয়ার টার্গেট সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
- যে সব বুথে প্রতিটি মানুষের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন পৌঁছেছে, সেখানে তৃণমূলের সব ভোটই পাওয়া উচিত, দাবি কুণাল ঘোষের।
- বাবরি ধ্বংসের বার্ষিকীতে এ দিন মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সংহতি দিবস পালন করে তৃণমূল।
তৃণমূলের টার্গেট প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কলকাতা-সহ পুরভোটে তারা যে ভোটলুটের কৌশল নিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু গ্রামে গ্রামে যে ভাবে মানুষ তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখছেন, কোথাও তৃণমূল নেতা গিয়ে চুরির টাকা ফেরত দিচ্ছেন- তা থেকে স্পষ্ট শাসকদলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে।’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ির বক্তব্য, ‘তৃণমূলের উন্নয়ন তো ২০১৮ সালে বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বাম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। কিন্তু মানুষ এখন বলছে, চোর তাড়াও গ্রাম বাঁচাও। তাই ভোট-লুটেরাদের মনোবল জোগাতে তৃণমূল এ সব কথা বলছে।’
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বিশ্বাস, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে উন্নয়নের পক্ষেই মানুষ ঢেলে শাসকদলকে ভোট দেবে। ঘটনাচক্রে এ দিন নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় শুভেন্দু অধিকারী বজরংবলি উৎসবের সূচনা করেছেন। সেখানে তিনি তৃণমূল ও সিপিএমের ‘হিন্দু কর্মী-সমর্থকদের’ বিজেপির পাশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বাবরি ধ্বংসের বার্ষিকীতে পার্ক সার্কাস থেকে রাজাবাজার পর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিল করে বামফ্রন্ট। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘ধর্ম-ভাষা-পোশাক-খাদ্য নিয়ে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ