বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকা কার্যত শুনশান৷ বারুইপুর থানার IC-র নেতৃত্বে পুলিশ টহল দিচ্ছে এলাকায়৷ অভিযুক্ত আব্দুল হামিদের দোকান তথা বাড়ি সিল করে দেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ প্রশাসন৷ এদিন মৃতদের সমাধি করে দেওয়া হয়, এই ঘটনার পর থেকে মৃত সাজ্জাত মণ্ডল ও সারফুদ্দিন লস্করের পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। পুলিশ পিকেট থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তর পরিবারের সদস্যরা কার্যত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিন মৃতদের সমাধি করে দেওয়া হয়৷
পুলিশ ও স্থানী সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এক লাখ টাকা নিয়েই মদের আসরে ঝামেলা থেকে খুন, গোটা বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷ তবে এলাকায় অভিযুক্ত আব্দুল হামিদের ত্রাস নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষজন। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাইয়ে সিদ্ধহস্ত ছিল এই আব্দুল হামিদ৷ স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল মল্লিক বলেন, “শুনেছি বলাই মেশিন বিক্রি করত৷ গ্রামের মানুষ সবই জানে৷” গ্রামবাসী মহম্মদ হোসেন আলি সরদার বলেন, “বলাইয়ের কাছে প্রচুর বোমা, বন্দুক রয়েছে৷ গ্রামের মানুষ রীতিমতো ওদের ভয় পায়৷ এত বোমা, বন্দুক সে পেল কোথায়!” এত বোমা, বন্দুকের উৎসক খুঁজে বের করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানান তিনি৷ তাঁর দাবি, এর পিছনে BJP আছে৷ কারণ বলাই BJP করে৷
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির সরদার বলেন, “এই ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্ত অধরা৷ ওরা এলাকায় এসে শাঁসাচ্ছে৷ একটু দূরেই পুলিশ থাকে৷ তা সত্ত্বেও অভিযুক্তর পরিবারের লোকজন বাইকে করে এসে শাঁসাচ্ছ৷ ওরা এলাকার দুষ্কৃতী৷ ফলে মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়াতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে৷ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েনি৷” মৃতের স্ত্রী জির্ণাথন মণ্ডল বলেন, “এখনও দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে হুমকি দিচ্ছে৷ ঘরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছে, তারা ভীষণ ভয় পাচ্ছে৷ নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে গ্রামের মানুষ৷” মূল অভিযুক্তকে ধরে কড়া শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানান মৃতের স্ত্রী৷