দিল্লিতে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দের আশ্বাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বকেয়া টাকা নিয়ে এদিন তিনি সরব হয়েছিলেন।

হাইলাইটস
- প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার পরে এ বার একশো দিনের কাজের প্রকল্পেও কেন্দ্রের বকেয়া টাকা নিয়ে জট কাটার আশা দেখছে রাজ্য।
- মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং তাঁকে ফোন করে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন বলে বুধবার দাবি করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
- তৃণমূল সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একশো দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা নিয়ে তিনি ফোন করে যেখানে যা বলার বলে দিয়েছেন।
শুধু তা-ই নয়, বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকাতেও তাঁর অসন্তোষ স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী– ‘অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার মাত্র দু’মাস আগে যদি কোনও প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়, তা হলে সেই টাকা খরচ করা যায় না। শেষ পর্যন্ত এই টাকা ব্যবহার করা যায় না। তখন ওঁরা বলেন, আমরা টাকা দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার খরচ করতে পারেনি।’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কী ভাবে করবে? টেন্ডার করতে সময় লাগে না? ডিপিআর করতে সময় লাগে না? কাজ সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে না? ঠিক সময়ে টাকা দেওয়া উচিত। কিন্তু এটা একটা চালাকি। বছরের শেষে কিছু টাকা দিয়ে দাও, যেন ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে! আমাদেরও অংশিদারী রয়েছে। আমাদের সব জিএসটি ওরা তুলে নিয়ে যায়। জিএসটিকে আমরা সমর্থন করেছিলাম। তা হলে আজ এমন হচ্ছে কেন?’
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা। একশো দিনের কাজের পাশাপাশি গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পেও বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। কিছু দিন আগে কেন্দ্র বাকি দু’টি প্রকল্পের বরাদ্দ অনুমোদন করলেও একশো দিনের কাজের টাকায় এখনও অনুমোদন মেলেনি। গত বছর ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পের বরাদ্দ আটকে রয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী এ দিন এ-ও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতা তাঁকে চিঠি দিয়ে এই টাকা বরাদ্দ না-করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে তাঁর কিছু অভিযোগ রয়েছে।’ গিরিরাজ সিংয়ের কাছে বিরোধী দলনেতার অভিযোগের কথা শুনে প্রদীপ তাঁকে বলেন, ‘বিরোধী দলনেতার অভিযোগ পাঠিয়ে দিন। আমরা আপনাকে নির্দিষ্ট করে জবাব দেবো।’ যদিও এ দিন দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সওয়াল করেন, ‘আমরাও চাই বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ একশো দিনের কাজের বকেয়া বেতন পান। এ জন্যই আমি এবং শুভেন্দু অধিকারী আগামী ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসব।’
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ