পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি করার সময় একটি নামি হোটেলে দু’জনকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ তাদের কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করায় তাদের পুরুলিয়া সদর থানায় নিয়ে আসা হয়৷ থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় ধৃতরা একটি ছিনতাইয়ের চক্রের সঙ্গে জড়িত৷ ধৃতদের কাছে থেকে চারটি জাল নোট উদ্ধার হয়৷ ধৃতরা জাল নোট কারবারের সঙ্গে এরা যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের জেরা করে জানা যায়, এরা মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বাসিন্দা৷ ওদের সঙ্গে আরও তিনজন রয়েছে৷ এরা পাঁচজনই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা৷ চারজন মধ্যপ্রদেশের এবং একজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা৷ এরা শহরে ঢোকের মুখে নাকা চেকিং করার নামে সোনার গয়না ছিনতাই করত৷ অভিযোগ, বিশেষত বয়স্ক এবং নিরীহ প্রকৃতির মানুষকে ধরে গয়না হাতিয়ে নিত ধৃতরা৷ ধৃত দু’জনকে জেরা করেই জানা যায়, বাকি তিনজন জামসেদপুরে রয়েছে৷ জামসেদপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ তারা তিনজনকে আটক করে৷
কীভাবে চলত এই প্রতারণা?
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুরুলিয়া জেলার পুলিশ (Purulia District Police) সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন শহরে ঢোকার মুখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিভিল পোশাকে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিত এরা৷ কাউকে গয়না পরে থাকতে দেখলেই সেগুলো খুলে ব্যাগে রাখার পরামর্শ দিত৷ তাদের গয়নাগুলো কাগজে প্যাক করে দেওয়ার নামে নিয়ে বদলে ওদের নকল গয়না দিয়ে দিত৷ এই নকল গয়নার প্যাকেট আগে থেকেই তাদের কাছে মজুত থাকত৷” জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান, এদের অপরাধের কৌশল সম্পূর্ণ নতুন৷ এদের মূল পান্ডা অপারেশন করার জন্য যে জায়গা বেছে নিত, সেখানে তাকে এরা বাইকে করে পৌঁছে দিত।