বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: ফের ভুয়ো শিক্ষক-শিক্ষিকার তালিকা প্রকাশ হতেই বিপত্তি! উধাও আরেক শিক্ষিকা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয় দফায় ৪০ জন শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর তারপরই রহস্যজনকভাবে উধাও জামুড়িয়ার এক শিক্ষিকা। নাম সংগীতা হাতি। আসানসোলের জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত বিজপুর নেতাজি শিক্ষা নিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন সংগীতা হাতি। অভিযোগ, তিনি সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় পান ৫৩!
এখন মঙ্গলবার থেকে আর স্কুলে আসছেন না সংগীতা হাতি। বৃহস্পতিবারও তিনি আসেননি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ সালের পরে ওই শিক্ষিকা জামুড়িয়া বিজপুর নেতাজি শিক্ষা নিকেতন স্কুলে যোগদান করেন। তবে ওই শিক্ষিকা কী কারণে দ্বিতীয় দফায় ভুয়ো তালিকা প্রকাশের পরই আর আসছেন না, সেই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কিছু বলতে পারেননি। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, স্কুল পরিদর্শক কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল সমস্ত স্কুলের কাছ থেকে। সেই তথ্যের উত্তর তারা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে জমা দিয়েছেন। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রথম দফায় ওয়াবসাইটে ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা প্রকাশের পরই এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নাম টুম্পারানি মণ্ডল। মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের এক ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন টুম্পারানি মণ্ডল (৩০) নামে ওই তরুণী। কেন এই আত্মহত্য়া তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই শিক্ষিকার এক আত্মীয় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন, শুঁকতে শুঁকতে ব্যাগের সামনে থামল স্নিফার ডগ, তল্লাশিতে হাওড়া স্টেশনে মিলল বহুমূল্যের…
মুখ্যমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, কী বললেন বিচারপতি?
টুম্পার এক আত্মীয় সংবাদমাধ্য়মে জানান, রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হওয়া মামলায় বেশ মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে নবম-দশমে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন এমন ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেইরকম একটি তালিকা ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেই তালিকায় টুম্পার নাম ছিল। তালিকা দেখার পর থেকেই টুম্পা মুষড়ে পড়েন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।