১১ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় তা আর হচ্ছে না৷ বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিবৃতিতে জানান, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের হঠকারী আচরণের কারণেই উপাচার্যকে তাঁর বাসভবনে অবরুদ্ধ থাকতে হচ্ছে। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস স্বাভাবিক নেই। উপাচার্য প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হল।
বিশ্বভারতীর ছাত্র ও বিক্ষোভকারী সোমনাথ সৌয়ের অবশ্য দাবি, শুধু সমাবর্তন অনুষ্ঠান নয়, বিশ্বভারতীর যে সমস্ত রীতিনীতি ও ঐতিহ্য আছে, তার কোনওটাই উপাচার্য কোনওদিন মানেননি। তাই হঠাৎ করে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করবেন তিনি, এটাই একটা হাস্যকর বিষয়৷ সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে উনি চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়াকে ডেকেছিলেন এবং ভাবছিলেন নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যদি আন্দোলনটাকে ভেঙে দেওয়া যায়, তাহলে তিনি বেরিয়ে আসতে পারবেন ও মুক্ত হয়ে যাবেন৷ এই ভেবে তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন ভেবেছিলেন৷
তিনি বলেন, “চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়াকে আমরা সকালে চিঠি পাঠিয়েছি, যেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা সমস্তটাই আমরা তুলে ধরেছি৷ তাই তাঁর পরিকল্পনা মাফিক কাজ না হওয়ায় উপাচার্য সমাবর্তন বাতিল ঘোষণা করেন৷” এই সমাবর্তন উৎসব ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এক পরম প্রাপ্তির অনুষ্ঠান। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, MPhil ও Phd উত্তীর্ণদের শংসাপত্র প্রদানের জন্যই এই সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি দেশিকোওম ও গগন-অবন পুরষ্কারও দেওয়া হয়। সমাবর্তন উৎসবের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল অফিস ও পূর্বপল্লি রথীন্দ্র অতিথি ভবন পরিদর্শন করেন জেলা বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলা বিচারক বোলপুর সুজয় সেনগুপ্ত, মহকুমা শাসক অয়ন নাথ, SDPO নরেন তিওয়ারি সহ অন্যান্যরা। এরপরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল বলে ঘোষণা করে৷