অয়ন ঘোষাল: মান্দাসের প্রভাব আপাতত একেবারেই পড়ল না রাজ্যে। শুক্রবার এই মরশুমের এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। তাপমাত্রা ফের নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে। গত রবিবার তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রি ছিল। তার থেকেও কমে শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি। পাল্লা দিয়ে দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম হওয়ায় শীতের আমেজ বহাল থাকবে। কাল দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি।
দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্য ছাড়া এখনও পর্যন্ত মান্দাসের প্রভাব আর কোথাও নেই। অন্যদিকে ক্রমশ ঠান্ডা বাড়ছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। কোনও জলীয় বাষ্পের বাধা এখনও পর্যন্ত বাংলায় নেই। তাই উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে শীতল হাওয়ার অবাধ প্রবেশ বহাল রয়েছে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: বাতিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন, ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ উপাচার্যের
আজও এই প্রবণতা বহাল থাকবে। অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে কাল থেকে। দশ এবং ১১ ডিসেম্বর সামান্য করে বাড়বে তাপমাত্রা এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কিছুটা বাড়বে আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। আকাশ আংশিক মেঘলা হতে শুরু করবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Birbhum: তৃণমূলের একাংশের মদতে চলছিল বালি তোলার কাজ, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালাল খাদ-কর্মীরা
সিস্টেম দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে ঘূর্ণিঝড় মান্দাসে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব সরাসরি পড়বে তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। এই তিন জেলার উপকূলে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছিল মান্দাসের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আর ১৫-র নীচে নামবে না।যদিও সেই আশঙ্কা অমুলক প্রমাণিত হয়েছে। অনেকদিন ধরেই সকলের প্রশ্ন কবে শুরু হবে শীতের লম্বা স্পেল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত অনুযায়ী সম্ভবত ১৫ ডিসেম্বরের পরে শীতের স্থায়ি স্পেল আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।