নির্মাণ সহায়ক-এর সই নেই। কোনও কাগজপত্র নেই কোনও ফাইল নেই পঞ্চায়েতে। অথচ, সংশ্লিষ্ট পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজে টাকা পেমেন্ট হয়ে গিয়েছে কন্ট্রাকটারকে বলে অভিযোগ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য গড়বেতা (Garhbeta) দু’নম্বর ব্লকের মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গড়বেতা (Garhbeta) দু’নম্বর ব্লকের মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Makli Gram Panchayat) কেশিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন পানীয় জলের সমস্যা। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এলাকায় একটি সাবমারসিবল পাম্প বসানোর। পঞ্চায়েতে কাগজে কলমের তথ্য বলছে এলাকায় জলের পাইপলাইন ও সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক-এর বক্তব্য এলাকায় এখনও অবধি কোনও কিছুই হয়নি। এক লাখ টাকা বা তার বেশি কোনও অর্থের কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডার হওয়ার কথা। তা তো এখানে হয়নি। এর বাইরেও নির্মাণ সহায়কের সই জাল করে ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় নির্মাণ সহায়ক রুনা লায়লা নিজেই অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিওকে (BDO)। অভিযোগ পেয়েই গড়বেতা দু’নম্বর ব্লকের BDO ইতিমধ্যেই তাঁর তদন্ত শুরু করেছেন। গড়বেতা (Garhbeta) দু’নম্বর ব্লকের BDO কৃষ্ণ নির্মাল্য ভট্টাচার্যের বক্তব্য, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে যা উঠে আসবে তা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে তৃণমূল TMC পরিচালিত মাকলি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান টিয়া কুন্ডু’র বক্তব্য, তিনি নাকি কিছুই জানেন না। অথচ নির্মাণ সহায়ক-এর দাবি একমাত্র নির্মাণ সহায়ক ও প্রধানের সই ছাড়া এই টাকা ছাড়তে বরাদ্দ হয় না। নির্মাণ সহায়ক যেখানে খোদ অভিযোগ জানিয়েছেন, সেখানে অভিযোগের আঙুল প্রধানের দিকেই যায়। যদিও প্রধানের বক্তব্য, তাঁর অজান্তেই এটি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় BJP নেতার অভিযোগ, “এ যেন ভগবান প্রদত্ত ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। যে তৃণমূল করলেই তাঁরা চুরি করতে পারবে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানানো হয়েছে বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে। গ্রামের লোকের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের এ বঞ্চনা তাঁরা মেনে নেবে না।”