অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ ইকুইপড পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি সোনা ও চারটি রূপো জয় করলেন হৃদয়পুরের মৌমিতা ঘোষ। গত একবছর আগে নিজের ওজন কমানোর জন্য জিমে ভর্তি হয়েছিলেন।
হাইলাইটস
- অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ ইকুইপড পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় হৃদয়পুরের তরুণীর
- মোট 16টি দেশের প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়
- এই প্রতিযোগিতায় 4টি সোনা ও 4টি রূপো জয় করলেন হৃদয়পুরের মৌমিতা ঘোষ
পাওয়ারলিফটিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হবেন ভাবেননি মৌমিতা
ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো ভালোবাসতেন মৌমিতা। কিন্তু, পাওয়া লিফটিংয়ে কিছু করে দেখাবে এটা কোনও দিনই ভাবেনি তিনি। গত একবছর আগে নিজের ওজন কমানোর জন্য জিমে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকেই পাওয়ার লিফটিংয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। একবছরের মধ্যে জেলা, রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে একাধিক চাম্পিয়নশিপে সোনা ছিনিয়ে নিয়ে অবশেষ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। এক বছরে হয়তো অনেক সোনা এসেছে বাড়িতে জাতীয় স্তরে। তবে এই প্রথম আন্তর্জাতিক খেতাব মৌমিতার মাথায়।
কঠিন লড়াই করে
তবে মৌমিতার লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর বাবা একজন ব্যবসায়ী। আর মা গৃহবধূ। দু’জনেরই সর্বোচ্চ সহযোগিতা ছিল। আর তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করেছিলেন মৌমিতা। আগামীতে এশিয়া এবং সর্বোপরি ওয়ার্ল্ড চাম্পিয়নশিপে নিজেকে নিয়ে যেতে চান তিনি। লড়াই কঠিন হলেও ছোটবেলা থেকে খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে কিছুটা সুবিধা হয়েছে তাঁর। তবে জাতীয় স্তরে শক্ত লড়াই ছিল, সেই লড়াইয়ে সফলতা পাওয়ার পরই নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায়। এর জন্য মৌমিতার কোচেদের অন্যতম ভূমিকা ছিল।
এছাড়া সেই সময় নিউজিল্যান্ডের তাপমাত্রা ছিল ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির আশপাশে। সেই কারণে অনেকটাই কঠিন ছিল এই লড়াইও। তবে শেষ পর্যন্ত সোনার মেডেল ছিনিয়েই নেন বছর ২০-র মৌমিতা ঘোষ। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা। আগামী দিনে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী মেয়েকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বদা চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ