স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড় ২ ব্লকে পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে পরিবারের দশ সদস্যের নামে আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) বাড়ি নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তালিকায় নাম তোলা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। অভিযুক্ত সদস্যার নাম রেহেনা বিবি। রেহেনা ভাঙড় ২ ব্লকের শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Shanpukur Gram Panchayat) সদস্যা। তাঁর স্বামী লালবাবু সর্দার স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা। অভিযোগ, তাঁর স্বামী লালবাবু সর্দার সহ পরিবারের মোট দশ সদস্যের নামে বাড়ির টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। জিও ট্যাগ করে লিস্টে নামও চলে এসছিল। খবর পেয়ে ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসন ও কাশিপুর থানার পুলিশ সরজমিনে খতিয়ে দেখতে কাশিপুর সর্দার পাড়ায় শুক্রবার দুপুরে উপস্থিত হন। সেখানে উপস্থিত হয়ে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের। কেউই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য নয় বলে জানান আধিকারিকরা। যাদের পাকা বাড়ি লিস্ট থেকে সকলকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনার SDC সিভিল ডিফেন্স ঋত্বিক হাজরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা কাজেম মোল্লা বলেন, “আমফানে আমাদের এখানে তিনটি বাড়ি উড়ে চলে গিয়েছিল। কেউ সেই সময় সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয়নি। জমি বন্ধক রেখে আমাদের ঘর বানাতে হয়েছে। এঁদের সম্বন্ধে আর কি বলবো ? এঁরা শুধু নিজেদের নামেই ঘর নিয়ে নিয়েছে।” বিষয়টি ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। তবে গোটা ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাঙড় ২ ব্লকের শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা রেহেনা বিবি।
তিনি বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে সময় এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করা হয়, তখন কাঁচা বাড়ি ছিল। তাছাড়া আমাদের পরিবারে দশজন সদস্য নেই। তাহলে দশজনের নামে ঘর পাওয়া যাবে কোথা থেকে ? সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তবে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে অযোগ্য কেউ এই সরকারি প্রকল্পের আওতায় বাড়ি পেলে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হবে বলেই জানান সরকারি আধিকারিকরা।