আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনওরকম সমাধান সূত্রে না পেলে, বাস পরিষেবা বন্ধ (Bus Strike) থাকবে বলেও জানিয়েছে বাস অ্যাসোসিয়েশন৷ বাস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এমনিতেই বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ প্রত্যেকটি বাসস্ট্যান্ডে অটো এবং টোটো চালকরা যাত্রীদের গাড়িতে করে নিয়ে বেরিয়ে যান৷ পরে স্ট্যান্ডগুলিতে বাস এসে যাত্রী খুঁজে পান না। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা সভা হলেও, লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলেই দাবি৷ প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রানাঘাট (Ranaghat) সাব ডিভিশনের মোট ছ’টি রুটে বাস পরিষেবা বন্ধ করল রানাঘাট সাব ডিভিশন বাস অ্যাসোসিয়েশন (Bus Association)।
রানাঘাট সাব ডিভিশন বাস অ্যাসোসিয়েশনের (Bus Association) চেয়ারপার্সন মদন দাস বলেন, “আমাদের রানাঘাটে ১৩-১৪ রুট প্রায় মৃত৷ যে দু’-তিনটে রুটে বাস চলাচল করে সেখানে বেআইনি অটো আর টোটোর দৌরাত্ম্য চলছে৷ এনিয়ে বারবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে৷ কোনও সমাধান সূত্র বেরয়নি৷ কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই তারা NH৩৪ রুটে চলাচল করছে৷ বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটের পথ বেছে নিলাম৷” তিনি জানান, বাস পরিষেবা বন্ধ রাখলে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষজন৷ সামনে টেট পরীক্ষা৷ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে জেনেও বিকল্প কিছু রাস্তা খুঁজে পাওয়ায় তাঁরা বাধ্য হয়েই এই পথ বেছে নিয়েছেন বলেই দাবি৷ তাঁর দাবি, প্রশাসন যদি অবিলম্বে অবৈধ টোটো এবং অটো চলাচল বন্ধ না করে, তাহলে আগামী দিনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বাস অ্যাসোসিয়েশনকে (Bus Association)। প্রশাসন অবিলম্বে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তারা এই ধর্মঘট তুলে নেবেন বলেও জানান তিনি।
এই ধর্মঘটের ফলে এদিন সমস্যার সম্মুখীন হন নিত্যযাত্রীরা৷ দীর্ঘক্ষণ বাসের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় একাধিক মানুষকে৷ সুকুমার বসাক নামে এক যাত্রী বলেন, “আমি কৃষ্ণনগর যাব বলে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি৷ আধঘণ্টার বেশি অতিক্রান্ত হলেও বাসের দেখা নেই৷ আদৌও আসবে কিনা, তাও বুঝতে পারছি না৷”