
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার খাগড়াগড় (Khagragarh) তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) উদ্যোগে খাগড়াগড় মোড় এলাকায় একটি মশারি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেই মঞ্চেই উর্দি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় বর্ধমানের ট্রাফিক OC (গোলাপবাগ সাবপোস্ট) বিশ্বনাথ পাইন’কে। মঞ্চেই তাঁকে সম্বর্ধনাও দেওয়া হয়। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই ওঠে সমালোচনার ঝড়। একটি রাজনৈতিক দলের পরিচালিত অনুষ্ঠানে একজন উর্দিধারীর এভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত, প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকেই। পুলিশি ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবারের ঘটনাতেও তার অন্যথা হয়নি। তবে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। এহেন ঘটনার অভিযোগ পৌঁছয় জেলা পুলিশের সুপারের কাছে। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন, ট্রাফিক ওসি বিশ্বনাথ পাইনকে শোকজ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে BJP বর্ধমান জেলা কমিটির সহ সভাপতি শ্যামল রায় জানান, “এই অভিযোগই তো আমরা দীর্ঘদিন ধরে করছি। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।.আজ তা প্রমানিত হল।.পুলিশ তৃনমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। কাজেই পুলিশ যে তার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে না, তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।” তবে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “ওটা একটা সমাজিক অনুষ্ঠান ছিল। ডেঙ্গির সময় এলাকার গরীব মানুষকে মশারি বিতরণ করা হচ্ছিল। নিতান্তই সামাজিক সেবামূলক একটি অনুষ্ঠান। যদিও আমাদের দলের ব্যানারে ওটা হচ্ছিল। এখন সেখানে ওই অফিসার ডিউটিরত অবস্থায় হাজির ছিলেন কিনা, সেটা প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলতে পারবেন।”
ঘটনার সমালোচনা করেছে স্থানীয় কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বও। জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌরব সমাদ্দার বলেন, “পুলিশ, প্রশাসন এবং তৃণমূল এই তিনটে হচ্ছে সমার্থক। এর আগেও আমরা এরকম ধরনের ঘটনা বহুবার দেখেছি। পুলিশ প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে দলের তরফে পরিচালনা করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়।”
