চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাট এলাকার এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন । আলমারির ভিতর কী করে গেলেন বৃদ্ধা নাকি তাকে মেরে কেউ লুকিয়ে রেখেছিল সেখানে। তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
বৃদ্ধার ছেলে বিশ্বনাথ ধারা জানিয়েছেন, বৃদ্ধা ওই ঘরেই স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। দুজনের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। বৃদ্ধ বয়সে আর পাঁচটা দম্পতির যেমন ঝগড়া ঝাঁটি হয়, তেমনই ছিল তাদের সম্পর্ক বলে দাবি মৃতার ছেলের। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ”পরশুদিন থেকে মাকে আর দেখতে পাইনি। বাবাকে জিজ্ঞাসা করি মা কোথায় গেল? বাবা বলেন জানি না। মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হলেও কোনওদিন মায়ের গায়ে হাত দিতেন না বাবা। তারপর মাসির বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। ফেসবুকে দিয়েছি।” পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার চুঁচুড়া থানায় ডায়েরিও করেন মৃতার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ কাশিনাথ স্ত্রীর কাছে মদ খাওয়ার পয়সা চাইত। বৃ্দ্ধা পরিচারিকার কাজ করে যা আয় করতেন তাতে ভাগ বসাতেন কাশিনাথ। তাই নিয়েই অশান্তি হত মাঝেসাঝে। তবে ভয়ানক কোনও কিছু কখনও চোখে পড়েনি।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবযানী ধারা বলেন, ”বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আলাদা একটি ঘরে থাকতেন। তার ছেলে বৌমা পাশের একটি বাড়িতে থাকেন। বৃদ্ধা যে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সে বিষয়ে বৃ্দ্ধ ছেলে বৌমাকে কিছুই জানায়নি। দু’জনে এক সঙ্গে থাকে অথচ একজনকে পাওয়া যাচ্ছে না সে বিষয়ে তার কোনও হেলদোল নেই এটাই গোলমাল লাগছে ।”
তবে মৃতার বৌমা কাজল ধারা অবশ্য সরাসরি শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন,”শাশুড়ি মাকে একদমই সহ্য করতে পারতেন না শ্বশুর মশাই। সবসময় খারাপ খারাপ কথা বলতেন। খুব ঝগড়া করতেন। আমার স্বামী ক্যাটারিং এর কাজ করে বাইরেই থাকে বেশিভাগ সময়। তাই সব জানেন না। এই ঘটনার পর থেকে শ্বশুরমশাই তার ঘরে তালা দিয়ে রাখছিল আর বলছিলেন রেল লাইনে গিয়ে মাকে খোঁজ। আমার অনুমান, উনি মেরে আলমারিতে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন।”
জানা গিয়েছে, যে ঘর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। সেটি গত কয়েকদিন ধরে তালা দিয়ে রাখছিলেন বৃদ্ধ। এদিন সকালে কাপড় সহ কিছু দরকারি জিনিস বার করতে ঘর খুলে আলমারি খুলতেই বেরোল বৃদ্ধার মৃতদেহ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।