পরীক্ষায় নকল করার ‘মিথ্যা’ অভিযোগ তোলা হয়েছিল ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর সেই অভিযোগে তার বাবা মাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমানও করেছিলেন শিক্ষিকারা। আর তা মানতে পারেনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। কী করল সে?

হাইলাইটস
- পরীক্ষায় নকল করার ‘মিথ্যা’ অভিযোগ তোলা হয়েছিল স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে
- স্কুলের মধ্যে তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে গিয়েও অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ
- এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হয় ছাত্রী
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৭ তারিখে জলপাইগুড়ি সুনিতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির সংস্কৃত পরীক্ষা ছিল। যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে স্কুলে হাজির হয়েছিল ওই ছাত্রীও। পরিবারের দাবি, পরীক্ষা চলাকালীন সে নকল করেছে বলে তার এক সহপাঠী ক্লাস টিচারকে অভিযোগ করে। এরপর ওই শিক্ষিকা কিশোরীকে ডেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। এদিকে, সেই সময় ওই কিশোরীর কাছ থেকে নকল করার মতো কোনও কাগজই পাননি তিনি। কিন্তু, কোনও প্রমাণ না পাওয়ার পরও তার বাবা-মাকে বিদ্যালয়ে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা।
কিশোরীর বাবা-মাকে অপমান!
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ৮ ডিসেম্বর ওই কিশোরী বাবা ও মাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে যায়। সেখানে তার সামনেই তার বাবা-মাকে শিক্ষিকারা অপমান করেন বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই গুমরে ছিল কিশোরী। পরিবারের কারও সঙ্গে কথাও বলছিল না সে। তারপর ৯ ডিসেম্বর নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এমনকী, মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছিল সে। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ আরও দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে তা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনার জানতে স্কুলে গিয়ে শ্রেয়ার ওই সহপাঠী এবং শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ