পথদুর্ঘটনার শিকার হুগলির গুপ্তিপাড়ার বাসুদেব খাঁড়ার মরণোত্তর অঙ্গদানে শুক্রবার এসএসকেম হাসপাতালে নবজীবন পেলেন চার জন। সকলের প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার মিটেছে নির্বিঘ্নে।

হাইলাইটস
- গ্রাম্য পরিবারটিকে বোঝানো হয়েছিল অঙ্গদানের মাহাত্ম্য।
- প্রিয়জনের ব্রেন ডেথের পরে তাই কৃষক পরিবারটির কাছে শোক ছাপিয়ে সামাজিক কর্তব্যের তাগিদই বড় হয়ে উঠেছিল।
- শুক্রবার এসএসকেম হাসপাতালে হুগলির গুপ্তিপাড়ার বাসুদেব খাঁড়ার মরণোত্তর অঙ্গদানে নবজীবন পেলেন চার জন।
তুষার বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই ডাক্তারবাবুরা বললেন মামা আর ফিরবেন না। ক্রমশ ব্রেন ডেথের দিকে চলে যাচ্ছেন। এখন মামার কিডনি, হার্ট, লিভারের মতো অঙ্গগুলি যেহেতু ঠিক আছে, তাই সেগুলি দিয়ে কোনও মরণাপন্ন রোগী নতুন জীবন পেতে পারেন। আমরা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই।’ তিনি জানান, অঙ্গদান সম্পর্কে কাগজে, টিভিতে অনেক কথা আগে জেনেছিলেন। কিন্তু এমন মুহূর্ত যে তাঁদের পরিবারেও আসবে, তা কখনও কল্পনা করেননি। এসএসকেএমের এক আধিকারিক জানান, পরিবারের সম্মতির পর আর দেরি করা হয়নি। শুক্রবার সকালেই ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। মিটিয়ে ফেলা হয় গ্রহীতা খোঁজার কাজ।
এ দিন দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত চলে মরণোত্তর অঙ্গগুলি শরীর থেকে তুলে সংরক্ষণের কাজ। রাতে শুরু হয় প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার। কিডনি পান বছর উনচল্লিশের মোক্তার মণ্ডল ও বছর আঠাশের উজ্জ্বল দত্ত। লিভার পেয়েছেন সিরোসিসে ভোগা এক প্রবীণ চিকিৎসক। হার্ট পেয়েছেন বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালের হৃদরোগী, বাদশা খান নামে এক বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়। দেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তুষার বলছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে হয়তো শোক কমে যাবে। কিন্তু চার জনের মধ্যে এখন বেঁচে থাকবেন মামা।’
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ