Trinamool Congress : গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, সিসিটিভি ক্যামেরায় ছয়লাপ কেশপুরের শাসকদলের কার্যালয় – the party office in keshpur covered in cctv cameras


গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হল কেশপুরের দলীয় কার্যালয় (Keshpur Party Office)৷ উদ্দেশ্য কার্যালয়ে নজরদারি৷ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে কেশপুরের (Keshpur) মাটি। দিন কয়েক আগে কেশপুর ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিসের মধ্যেই তুমুল বিক্ষোভের জেরে স্থগিত করে দিতে হয় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এরপর সেই পার্টি অফিসে বসেই দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল দলেরই একাংশকে। এরপরই তৃণমূল কার্যালয়ে বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মূলত বিদ্রোহীদের চিহ্নিত করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার৷ এই আবহে শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়েনি BJP। শাসকদলকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছেন জেলা BJP র সভাপতি তন্ময় দাস।

Trinamool : বুথ ঘুরে ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’র প্রার্থী বাছাই, কেষ্টহীন বীরভূমে জেলা তৃণমূলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা বলেন, ‘‘এটা পার্টি অফিসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়৷ দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ দলীয় কার্যালয়কে সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং নিরাপত্তাবলয় আরও বাড়াতে এই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে৷’’ তাঁর দাবি, সবাই দলীয় কার্যালয়ে যে ভালো উদ্দেশ্য তা নয়৷ অনেকেই এখানে এসে দলীয় কার্যালের অন্দরের খবর জেনে, তা বাইরে পাচার করে দেয়৷ সেসব তদারকির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে৷
যদিও জেলা BJP র সভাপতি তন্ময় দাস কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না এবং নেতারা হীনমন্যতায় ভুগছেন৷ এতদিন ক্ষমতায় থাকার পর এখন দলীয় কার্যালয়ে সিসিটিভ ক্যামেরা লাগাতে তারা বাধ্য হচ্ছে৷’’

Paschim Medinipur : এলাকা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের কোন্দল
তাঁর দাবি, প্রতিটি তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমা, গুলি মজুত থাকে৷ গোটা পশ্চিমবঙ্গে একই চিত্র৷ তবে কেশপুরে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকে৷ কিছুদিন আগেই এই পার্টি অফিসেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল৷ বোমা বিস্ফোরণও হয়েছিল এবং একজনের হাত উড়ে যায় তাতে৷ দুই গোষ্ঠীই একে অপরকে দোষারোপ করেছে৷ শাসকদলের ওপরতলার লোকজনও বুঝতে পেরেছে যে, কর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই৷ তাই সিসিটিভি লাগিয়ে নজরদারির চেষ্টা করছে৷ তাঁর দাবি, এই সিসিটিভির মাধ্যমে দলের নেতা এবং বিধায়িকা কর্মী সমর্থকদের ওপর নজর রাখবেন, কেউ দলের বিরুদ্ধে কিছু বলছে কিনা, সেসব দেখবেন ক্যামেরার মাধ্যমে৷

Trinamool Congress : ‘…বাংলার মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে চলেছে’, শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ কুণালের
শাসকদলের নেতানেত্রীরা যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব ফুৎকারে উড়িয়ে দিক না কেন, দলীয় কার্যালয়ে সিসিটিভির নজরদারি কেশপুরের রাজনীতিতে যে ফের তৃণমূলের কোন্দলের দিকেই অঙ্গুলি হেলন করছে, তা বলাই বাহুল্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *