এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা বলেন, ‘‘এটা পার্টি অফিসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়৷ দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ দলীয় কার্যালয়কে সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং নিরাপত্তাবলয় আরও বাড়াতে এই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে৷’’ তাঁর দাবি, সবাই দলীয় কার্যালয়ে যে ভালো উদ্দেশ্য তা নয়৷ অনেকেই এখানে এসে দলীয় কার্যালের অন্দরের খবর জেনে, তা বাইরে পাচার করে দেয়৷ সেসব তদারকির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে৷
যদিও জেলা BJP র সভাপতি তন্ময় দাস কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না এবং নেতারা হীনমন্যতায় ভুগছেন৷ এতদিন ক্ষমতায় থাকার পর এখন দলীয় কার্যালয়ে সিসিটিভ ক্যামেরা লাগাতে তারা বাধ্য হচ্ছে৷’’
তাঁর দাবি, প্রতিটি তৃণমূল পার্টি অফিসে বোমা, গুলি মজুত থাকে৷ গোটা পশ্চিমবঙ্গে একই চিত্র৷ তবে কেশপুরে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকে৷ কিছুদিন আগেই এই পার্টি অফিসেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল৷ বোমা বিস্ফোরণও হয়েছিল এবং একজনের হাত উড়ে যায় তাতে৷ দুই গোষ্ঠীই একে অপরকে দোষারোপ করেছে৷ শাসকদলের ওপরতলার লোকজনও বুঝতে পেরেছে যে, কর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই৷ তাই সিসিটিভি লাগিয়ে নজরদারির চেষ্টা করছে৷ তাঁর দাবি, এই সিসিটিভির মাধ্যমে দলের নেতা এবং বিধায়িকা কর্মী সমর্থকদের ওপর নজর রাখবেন, কেউ দলের বিরুদ্ধে কিছু বলছে কিনা, সেসব দেখবেন ক্যামেরার মাধ্যমে৷
শাসকদলের নেতানেত্রীরা যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব ফুৎকারে উড়িয়ে দিক না কেন, দলীয় কার্যালয়ে সিসিটিভির নজরদারি কেশপুরের রাজনীতিতে যে ফের তৃণমূলের কোন্দলের দিকেই অঙ্গুলি হেলন করছে, তা বলাই বাহুল্য।
