বৃহস্পতিবার মেমারি কলেজে (Memari College) নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাচের সেই ছবিই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োয় দেখা যায়, নবীনবরণ অনুষ্ঠানেই ছাত্রদের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তীকে হাত উঠিয়ে গানের তালে তালে নাচতে দেখা যায়। যদিও ছাত্রদের সঙ্গে নাচ করা নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য কলেজ অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “আমাদের কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্স চালিয়ে নাচ হচ্ছিল৷ আমরা বসেছিলাম৷ এক অধ্যপিকা স্টেজে গান করতে ওঠেন, সেই সময় ছাত্ররা আবদার করে স্টেজে উঠে ওদের সঙ্গে নাচতে এবং আমার হাত ধরে নিয়ে যায়৷ ওরাই আমার হাত ধরে নাচতে থাকে৷ এরপরই আমি চলে এসেছি৷ এটা এমন কোনও ব্যাপার নয়৷”
তাঁর দাবি, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যদি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা যায়, তাহলে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷ গতকাল ওদের সঙ্গে না গেলে এত ছাত্রকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন না বলেই দাবি করেন৷ তাঁর আরও দাবি, এখন এত রোগ, হৃদরোগে মানুষ যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, তাতে নাচ-গানের মধ্য দিয়েই সবাই সুস্থ থাকতে পারবে৷
যদিও BJP-র বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উদ্দাম নাচ হওয়াই উচিত নয়৷ বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষা ছাড়া বাকি সবই হচ্ছে। ফলে এটা নতুন কিছু নয়। যে রাজ্যে টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়, সেখানে এর থেকে বেশি আর কী আসা করা যায়। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরু শিষ্য পরম্পরা নেই বললেই চলে।”
যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “এর মধ্যে খারাপ কিছু তো দেখতে পাইনি৷ ছাত্রদের আনন্দে অধ্যক্ষ সামিল হয়েছেন৷ উনি হয়তো ছাত্রদের আনন্দে গা ভাসিয়েছেন, তাতে অন্যায় কিছু দেখছি না৷ BJP-র অভিযোগ করাটাই কাজ তাই অভিযোগ করছে। একই নাচ বিরোধী দলনেতা যখন নাচেন, তখন কিছু বলেন না৷”