বর্ধমানে একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হল এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ। ওই যুগলের দেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।

হাইলাইটস
- বর্ধমানে একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হল এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ
- ওই যুগলের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোট
- গলায় মালা ও সিঁথিতে সিন্দুর দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় যুগলের দেহ
শালিমার লজের অ্যাকাউন্ট কর্মী তাপসকান্তি মণ্ডল জানান, শনিবার বিকেলে মহাদেব মাজি ওই হোটেলে গিয়েছিলেন। হোটেল কর্মীদের মহাদেব মাজি জানান যে তিনি বেঙ্গালুরু থেকে এসেছে বর্ধমানে কাজ এসেছেন। শনিবার রাতটা বর্ধমানেই থাকবেন। যথারীতি আধার কার্ডের জেরক্স জমা দিয়ে লজের ৫০৬ নম্বর রুমে চলে যান তিনি। আর সব ঠিক থাকায় লজের মালিকরা এই বিষয়টি নিয়ে আর কোনও মাথাও ঘামাননি।
রবিবার সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ মহাদেব হোটেল থেকে বের হন। কিন্তু, এর কিছুক্ষণ পরই প্রিয়াঙ্কা মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে ফেরেন তিনি। হোটেল কর্মীরা তাঁর কাছে প্রিয়াঙ্কার কথা জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রিয়াঙ্কা তাঁর বোন। এও জানিয়েছিলেন যে প্রিয়াঙ্কা খুব বেশিক্ষণ সেখানে থাকবেন না। তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে যাবেন। এরপরই তাঁরা নিজেদের ঘরে চলে যান।
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের পরও তাঁরা হোটেলের ঘর না ছাড়ায় হোটেল কর্মীরা ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেছিলেন। কিন্তু, সেই সময় তাঁরা কোনও সাড়া পাননি। এরপর বাধ্য হয়ে হোটেলের সিনিয়র ম্যানেজারকে খবর দেন। তিনিও কোনেও সাড়া শব্দ না পেয়ে বর্ধমান থানায় খবর দেন। বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে লজের দরজা ভেঙে হোটেলের ঘরের সিলিং থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দু’জনের গলায় ফুলের মালা ছাড়াও প্রিয়াঙ্কার সিঁথিতে সিঁদুর এবং পায়ে আলতা ছিল। সম্ভবত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই দু’জনে একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে অনুমান পুলিশের। ওই হোটেলের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, “বাবা তুমি আমাদের তো একসাথে থাকতে দিলে না, মৃত্যুর পর যেন আমাদের আলাদা করো না।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ