Kolkata Police : থানা থেকে জামিন মদ্যপকে, ছেড়ে দিতে হবে গাড়িও! – new traffic rules instructions by lalbazar police station


West Bengal News মদ্যপ অবস্থায় চালক ধরা পড়লেও, কোনও ভাবেই আটকে রাখা যাবে না গাড়ি। নির্দিষ্ট ধারায় মামলার পর, দ্রুত রিলিজ করতে হবে গাড়িটিকে। তবে মদ্যপ চালকের হাতে চাবি দেওয়া যাবে না। তাঁর পরিচিত কাউকে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করতে হবে। থানা থেকেই ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়ে দিতে হবে অভিযুক্ত চালককে। অবশ্য গুরুতর মামলা, প্রাণহানি বা আহত করার মতো কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে ছাড় নেই। কড়া পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকর্মীদের। শহরের প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ড এবং থানাগুলির কাছে এমনই নির্দেশ গিয়েছে লালবাজারের (Lalbazar Police Station) তরফে।

উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ির চালককে মদ্যপ অবস্থায় আটক করার সময়ে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগে বিতর্ক শুরু হয়েছে। থানায় গাড়ি আটকে রেখে রাশিদকে হাজির করানো হয়, এমনও অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার। এই ঘটনার পরই লালবাজারের (Lalbazar Police Station) তরফে মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে কী করণীয়, গাড়ি আটক করা হলে কী করতে হবে, সে বিষয়ে লালবাজারের তরফে ফের একবার মনে করিয়ে দেওয়া হলো ট্র্যাফিক এবং থানার পুলিশকর্মীদের। নতুন এই ফরমানে মদ্যপ চালকেরা বাড়তি সুবিধা পাবেন, নাকি অসৎ পুলিশকর্মীদের ‘জুলুমবাজি’ থেকে রেহাই দেওয়ার এমন পদক্ষেপ করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পুলিশ মহলে।

Mamata Banerjee : চিংড়িঘাটার দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
চালক মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়লে মোটর ভেহিকলস অ্যাক্টের ১৮৫ ধারায় মামলা করা হয়। তার সঙ্গে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ১৮৪ ধারাও যুক্ত করা হয়ে থাকে। দু’টি ধারাই জামিনযোগ্য। রাস্তায় গাড়ি বা বাইক নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়লে মামলা করার পর অভিযুক্তকে থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টের পরেও অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্তে কত পরিমাণ অ্যালকোহল রয়েছে, তা যাচাই করা হয়ে থাকে। সেই নিয়মের পরিবর্তন হচ্ছে না। পরবর্তী ধাপে আদালত থেকে এনওসি নেওয়ার পরে থানা থেকে গাড়ি পেতেন অভিযুক্তরা। কিন্তু এ বার থেকে মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়ার পর থানা থেকেই গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। এমনকি ব্যক্তিগত বন্ডে ওই অভিযুক্তকে দ্রুত জামিন দিতে হবে থানার ওসি-কে। কারণ এই ধারাগুলি থানা থেকেই জামিনযোগ্য। ওই ব্যক্তির পরিচয়পত্র-সহ বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর জামিন দেওয়া হবে। যদিও আগের মতোই আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পরবর্তী সময় আদালতে হাজির হতে হবে অভিযুক্তকে।

Kolkata Road Accident: রাতের কলকাতায় ফের বেপরোয়া চার চাকা, পার্ক সার্কাস-মা উড়ালপুলে জোড়া দুর্ঘটনা
বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে, থানায় পাঠানোর পরে অভিযুক্তকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। থানার ‘পরিচিত’ উকিলরা চালকের সঙ্গে রফার চেষ্টা করেন। চমকে-ধমকে চালকের থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে গাড়ি রিলিজ করা হবে না। মামলা হলে জামিন পাওয়া পর্যন্ত অনেক সমস্যা হয় বলেও অভিযোগ। ট্র্যাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, “যিনি দোষ করবেন, তাঁর ক্ষেত্রে কোনও রেয়াত করা হচ্ছে না। গাড়িটিকে আটকে রাখা হবে না। ওই ব্যক্তির পরিচিত, যিনি সুস্থ আছেন, তাঁকে গাড়ি হস্তান্তর করা হবে। অভিযুক্তের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হবে। তবে গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে নয়।”

Rashid Khan : মত্ত অবস্থায় আটক রশিদ খানের গাড়ি চালক, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ
ট্র্যাফিক পুলিশের (Traffic Police) এক কর্তার কথায়, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং ৩০৪ পার্ট-২ (বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে) ধারায় মামলা হলে, সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হবে। সম্প্রতি চিংড়িহাটায় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চালকের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় যুক্ত করা হয়েছে। থানা থেকে জামিন দেওয়ার বিষয় নতুন কিছু নয়। তবে এ ক্ষেত্রে সেই নিয়মের ঢিলেমি যাতে না হয়, তা ফের মনে করিয়ে দেওয়া হলো।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *