ওএমআর (OMR) মূল্যায়নে গাজিয়াবাদের ওই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল এসএসসির (SSC)। তাদের কাজ ছিল, পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট (OMR Sheet) পরীক্ষা করে তা সার্ভারে তুলে দেওয়া। যার একটি প্রতিলিপি যাওয়ার কথা এসএসসির (SSC) কাছে। পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বর যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা নিজেদের সার্ভারে তোলার কথা এসএসসির (SSC)। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই নিয়ম ভেঙে ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকরা কমিশনের অফিসে বসে ওএমআর শিট (OMR Sheet) স্ক্যান করেন। তারপর এসএসসির (SSC) অভিযুক্ত কর্তারা সেই শিটে জালিয়াতি করেন। এবং অযোগ্যদের নাম বেআইনি ভাবে সফল প্রার্থী-তালিকায় তোলার ব্যবস্থা হয়।
বেসরকারি সংস্থাটির সঙ্গে এসএসসির (SSC) ঠিক কী চুক্তি ছিল, তা ভেঙে এরা স্ক্যান করা ওএমআর শিটের (OMR Sheet) হার্ড ডিস্ক অভিযুক্তদের হাতে তুলে দিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে তদন্তকারীরা সংস্থাটির তৎকালীন কয়েকজন কর্তার ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন। তদন্তকারীরা ওই সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মী পঙ্কজ বনসলের গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে তিনটি হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষাকর্মী এবং নবম-দ্বাদশে শিক্ষক পদে বেআইনি ভাবে নিযুক্ত ৮,১৬৩ জনের ওএমআর শিটের প্রতিলিপি এসএসসির (SSC) কর্তাদের হাতে আদালতের নির্দেশে তুলে দিয়েছে সিবিআই (CBI)। সেগুলি যাচাইয়ের কাজও অনেকটা করে ফেলেছে এসএসসি (SSC)। প্রক্রিয়া শেষে তা আদালতে জমা দেওয়া হবে। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় একটি চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিবিআই। তবে আদালতে তারা জানিয়েছে, এই ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত চলছে। ভবিষ্যতে ওই বেসরকারি সংস্থার কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার তথ্যপ্রমাণ মিললে পদক্ষেপ করবে সিবিআই (CBI)।