
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকাশ্যে আসছে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এবার হাওড়ায় শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন।

হাইলাইটস
- যতই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকাশ্যে আসছে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব
- ব্লক সভাপতির সামনে হাওড়ার ডোমজুড়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা
- যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে নারাজ জগৎবল্লভপুর কেন্দ্রের ব্লক সভাপতি
প্রায় সাত বছর পর ডোমজুড়ের মাকড়দহ এক নম্বর অঞ্চলের কর্মীসভা ডাকা হয়েছিল মাকড়দহ বাজারের একটি উৎসব ভবনে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্যই এই কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ঘর ভর্তি কর্মীদের সভায় উপস্থিত ছিলেন জগৎবল্লভপুর ব্লক সভাপতি। পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন একদল কর্মী। ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ রিয়াজ এবং সানি নামে দুই কর্মী তোলাবাজি এবং মাফিয়া রাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। তখন ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ কর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন এবং পুরোনো কয়েকজন কর্মীর উপর তাঁরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁদের লক্ষ্য করে চলে কিল, চড় এবং ঘুসি।
এদিকে এই পরিস্থিতি দেখার পর রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা কর্মীরা। সেই হল থেকে বের হওয়ার জন্য তাঁদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। আতঙ্কের চোটে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুরোনো কর্মীদের অভিযোগ, বর্তমান ব্লক সভাপতির অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তাঁর ঘনিষ্ঠরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ওই ঘরে। এই ঘটনায় দু’জন আহত হন।
যদিও ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কিছু কর্মীকে সভার চিঠি দেওয়া হয়নি। তাই তাঁরা আবেগের বশে হইচই করেছেন। কোনও গন্ডগোল হয়নি। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই।” এদিকে ব্লক সভাপতির সাফাই মানতে নারাজ বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা দখল এবং টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গন্ডগোলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত এই ধরনের ঘটনা ঘটবে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ