পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাব, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের সাসপেনশন সহ একাধিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে হবে। তার জন্যেই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের। সেই নিয়েই সোমবার, বিশ্বভারতীর তরফ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্ম সচিব অশোক মাহাতো, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধ্যাপক অমিত হাজরা সহ বিশ্বভারতীর সমস্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম লিখিত আবেদন করা হয় নি। সে কারণে জানা যাচ্ছে না তাঁদের সঠিক অভিযোগ। এর ফলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি দাবি করা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের একটাই দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ, এ বিষয়ে আলোচনাও সম্ভব নয়।
দীর্ঘ কুড়ি দিন ধরে উপাচার্য বাড়িতে আটকে থাকার কারণে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আটকে যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাবর্তন অনুষ্ঠান সহ বিশ্বভারতীর নানান অনুষ্ঠানও করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। উপাচার্য বাসভবন থেকে বেরোতে না পারলে বিশ্বভারতীর এই অচল অবস্থাও কাটবে না বলে দাবি করেন কর্তৃপক্ষ। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সমাবর্তন অনুষ্ঠান কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কেন বাতিল করা হল সে নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি কর্তৃপক্ষ।
সব কিছুর মাঝেই ছাত্ররা প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সঙ্গে ডেকে বা আন্দোলনস্থলে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কেন সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করছেন না ? পড়ুয়াদের দাবি, পুত্রসম পড়ুয়ারদের সঙ্গে সহানুভূতি তো দূরে থাক, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তিনজন অধ্যাপক এবং চারজন পড়ুয়ার নামে ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে বোলপুর আদালতে। ফলত, এই পরিস্থিতির জেরে শেষমেষ বিশ্বভারতীর অচল অবস্থা কবে কাটবে সেটাই এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে।