স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের বাইরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অফিসের বাইরে থাকা গার্ডরেল উপড়ে ফেলে অফিসে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। গাড়ির প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্প অফিসের বাইরে বের হতে পারেননি DIG CBI। বিক্ষোভকারীদের তরফে পার্শ্ববর্তী জাতীয় সড়কও অবরোধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
সিবিআইয়ের তরফে খবর দেওয়া ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের তরফে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা হলেও কোনও লাভ হয়নি। বগটুইকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত জাহাঙ্গির শেখকে আজ আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু, বিক্ষোভের মুখে পড়ে তাঁকে নিয়ে বাইরে বেরোতে সমস্যার মুখে পড়ের CBI আধিকারিকরা। বিক্ষোভকারীদের তরফে শেষমেশ একটি গাড়িকে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হলেও হঠাৎ করে গাড়িতে চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের একপ্রস্থ বচসাও হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, তাদের ওপর লাঠি চার্জ করা হয়েছে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমার সিবিআই আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী বাইরের বিক্ষোভকারী ও মৃতের পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়েছি। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় এক অভিযুক্তকে আদালত পেশ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবি। ইতিমধ্যেই পুলিশে FIR দায়ের করেছেন তিনি, যার ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লালনের স্ত্রী CID তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে লালনে অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে CBI-র তরফে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বগটুইয়ের মতো হাড়হিম সন্ত্রাসের প্রধান অভিযুক্তের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্য়ু ঘিরে সিবিআইয়ের ভূমিকা কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।