একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক দফতরের সামনে ধরনায় বসে কংগ্রেস কর্মীরা। কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

হাইলাইটস
- একাধিক দাবিতে কংগ্রেসের স্মারকলিপি প্রদান
- জলপাইগুড়ি জেলাশাসক দফতরে সামনে ধরনায় বসে কংগ্রেস কর্মীরা।
- কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দফতরে।
দফতরে ঢুকে অতিরিক্ত জেলা শাসকের ঘরের সামনে ধরনা কংগ্রেস কর্মীদের। যুব কংগ্রেস কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ তৃণমূলের ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার (Police Super) বিশ্বজিৎ মাহাত টেলিফোনে বলেন, “পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আইন ভাঙা হয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মঙ্গলবার দুপুরে যুব কংগ্রেসের আহ্বানে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের সমাজ পাড়া থেকে প্রায় দুই শতাধিক কর্মী জেলা শাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিছিল করে। জেলা শাসকের দফতরের গেটে ব্যারিকেড গড়ে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। জোর করে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কর্মীদের। এর পরে ব্যারিকেড ভেঙে দফতরে ঢুকে পড়ে কংগ্রেস কর্মীরা। পরে দপ্তরের ভেতরের গেটে থাকা পুলিশও কংগ্রেস কর্মীদের আটকাতে ব্যর্থ হলে কর্মীরা ভেতরে ঢুকে অতিরিক্ত জেলা শাসকের ঘরের সামনে ধরনায় বসে পড়েন তাঁরা।
রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি আজাহার মল্লিক (Azhar Mallik) বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের (TMC) দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদের আটকাতে তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করছে। আর পুলিশ প্রশাসন যদি সৎ হয়ে যায় তাহলে তৃণমূল নামক দলটা বাংলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” রাজ্য সরকারের একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও সরব হন যুব কংগ্রেস নেতা। তবে যুব কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যুব কংগ্রেস নেতা বলেন, “স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছি। তার পরেও পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা যদি লাঠি নিয়ে দাঁড়ায় তাহলে কী তাদের ফুল দেব?” উলটো হলে পালটা হবে বলে জানান তিনি। গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জেলা শাসক দফতরের সামনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কিছুক্ষণ পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ