Howrah Flower Market : বাড়ছে প্লাস্টিকের ফুলের চাহিদা, বিয়ের মরশুমেও মুখে হাসি নেই হাওড়ার চন্দ্রমল্লিকা-ডালিয়া-সূর্যমুখী চাষিদের – flower cultivation farmers facing loss for more usage of artificial flowers


Flower Cultivation: পারদ পতন সেই অর্থ না হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে শীতকাল পড়ে গিয়েছে। শীতের মরশুমে হাওড়া (Howrah District) জেলার বাগনানে (Bagnan) বিভিন্ন ফুল চাষিদের বাগানে ছেয়ে রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, কসমস. সিলভিয়া, সূর্যমুখী, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলসের মতো রঙ বেরঙের ফুল। কয়েকবছর আগে অবধি বিভিন্ন বিয়েবাড়িতে (Marriage Ceremony) এইসব বাহারি ফুলের ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে কৃত্রিম ফুলের দাপটে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে এই ফুলগুলি।

Vastu Tips: এই ফুলগাছ বাড়িতে লাগালে আকৃষ্ট হবেন লক্ষ্মী, থাকবে না কোনও অভাব!
বিয়ের মরশুমে কৃত্রিম ফুলের দাপট এতটাই বাড়ছে যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাগনানের ফুল চাষিরা। করোনা পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুল চাষিরা। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে কৃত্রিম ফুলের চাহিদা এখন ক্রমেই বাড়ছে। হাওড়া জেলার যেকয়েকটি জায়গায় ফুল চাষ হয় তার মধ্যে বাগনান,ঘোড়াঘাটা দেউলটি অন্যতম। এখানকার হাজার হাজার বিঘা জমিতে ফুল চাষ করা হয়। কয়েক হাজার চাষি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। বাহারি ফুলের চাহিদা কমে যাওয়ায়, তারা রীতিমতো আতঙ্কিত।

Hooghly Thermocol Industry: দুর্গাপুজোয় ব্য়পক চাহিদা শোলার কদম ফুলের, মালাকার পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে
বিগত কয়েকবছরে একের পর এক ধাক্কায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুল চাষে। করোনার সময় ফুল গাছে ছত্রাকের আক্রমণ কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল ফুল চাষিদের। আর এখন উত্তরোত্তর কৃত্রিম ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নতুন করে চিন্তায় ফুল চাষিরা। কৃত্রিম ফুল ব্যাপকভাবে ব্যবহারের ফলে চাহিদা কমছে। চাহিদা থাকলেও সেভাবে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ফুল চাষিরা। তাদের বক্তব্য কৃত্রিম ফুল পচে যাওয়া বা শুকিয়ে যাওয়ার ভয় থাকেনা বলে অনেকেই তা ব্যবহারের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন।

Durga Puja 2022: পদ্ম ছাড়া হয় না মা দুর্গার আরাধনা, কী অবস্থা ফুল চাষিদের?
কৃত্রিম ফুলের খরচও তুলনামূলকভাবে কম এবং একাধিক অনুষ্ঠানে এই ফুল ব্যবহার করা যায়। সেই কারণে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলিও এখন কৃত্রিম ফুলের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কৃত্রিম ফুলের দাপটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বাগনানের বাকুড়দহ গ্রামের ফুল চাষী পুলক ধারা। তিনি বলেন, “আগে যেকোনও অনুষ্ঠান বা বিয়েবাড়ির গাড়ি সজ্জা সাধারণ ফুল দিয়েই হত যদিও এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা কৃত্রিম ফুল পছন্দ করায় আমাদের ব্যবসা অনেকটাই মার খাচ্ছে।” সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক নারায়ণ নায়েক মতে, “কম খরচে সাজানো যায় বলে অনেকেই কৃত্রিম প্লাস্টিকের ফুল বেছে নিচ্ছেন। চাষিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *