ঠিক কী বলেছেন তিনি?
তিনি বলেন, “মেয়ে বলেই বোধহয় আমি এই নোংরা ট্রোলিংয়ের শিকার। আর একটা দল রয়েছে যাঁরা ভয়ংকরভাবে একটি রাজনৈতিক দলের ভাবধারাকে আরও বেশি করে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। কয়েক বছর আগেও সনাতন হিন্দু ধর্ম শব্দটার এত বহুল ব্যবহার ছিল না। তাঁদের মন্তব্য পড়ে বুঝি ওরা সনাতন, হিন্দুত্ব এই শব্দগুলোর মানে জানে না। এরা শুধুমাত্র প্রতিবাদ করতে হবে বলে ফেক প্রোফাইল, লক প্রোফাইল থেকে আক্রমণ চালাচ্ছে।”
জড়িয়ে ধরতে কি আদৌ বলা হয়েছিল?
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মহিলা পুরোহিতরোহিণী ধর্মপাল বলেন, “সিঁদুর পরার বিষয়টি উঠে যাক আমরা চাই। ওই বিয়েতে বধূ সিঁদুর পরতে চাননি। সেই সময় আমি হেসেই বলেছিলাম, যদি তোমরা চাও জড়িয়েও ধরতে পার একে অপরকে। এর থেকে সুন্দর কিছু হয় না। ওরা সানন্দে সেই কাজটা করেছিল। এর আগে এমনও হয়েছিল যে আমি কিছু বলিনি কিন্তু বর এবং কনে একে অপরকে চুমু খেয়েছে। তা এত আকষ্মিকতায় ঘটেছে যে ছবি তোলা হয়নি। এই ছবিটিও আমরা তুলিনি। উপস্থিত একজনের থেকে তা পাই। সিঁদুর থেকে বেরিয়ে যদি পরস্পরকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরি তা অনেক সুন্দর।” কনের পরিবারের অনুমতি নিয়েই এই ছবি পোস্ট করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। ছবিটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও অনুরোধও আসেনি কনের পরিবারের তরফে, মন্তব্য রোহিণী।
আজকের দিনে বহু মানুষ মুক্তমনা হচ্ছে বলেও মন্তব্য তাঁর। তবে সমালোচকদের একহাত নিয়ে রোহিণীর মন্তব্য, “ওরা ভারতীয় সংস্কৃতির কথা জানে না, হিন্দু সংস্কৃতির কথা বলে। আমি মনে করি আমাদের এই লড়াইয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির যেটুকু ভুল বা খারাপ তা বর্জন করে যেটুকু সুন্দর তা নিয়ে আসছি। সহজ বাংলায় তা বোঝানো হচ্ছে। বহু মানুষ তা মেনেও নিচ্ছেন, বুঝছেনও।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।