এই গল্প এক মেসি প্রেমীর। মেসিকে নিজের ভাই বলে মনে করেন তিনি। আর তাঁর সেই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পাড়ার মধ্যে। নিজের বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান ঘর সবই নীল সাদা রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন তিনি।
হাইলাইটস
- নিজের ঘরে থেকে শুরু করে দোকান সব কিছুর রং এখন নীল সাদা
- মেসি ভক্তের প্রেমে এখন ইছাপুরের এই পাড়া এখন এক চিলতে আর্জেন্তিনা
- শিবশংকর সবসময়ই মেসির 10 নম্বর জার্সি পরে থাকেন
এ এক অন্ধ ভক্তের কাহিনি। যাঁর বাড়ি সহ আসবাব পত্র, ঘরের সরঞ্জাম, আশপাশের মানুষকেও আর্জেন্তিনার রঙে রাঙিয়ে ফেলেছে শিবশংকর। চায়ের দোকান চালান শিবশংকর পাত্র। মেসিভক্ত এই আর্জেন্তিনার ভক্ত এবার মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান। বাড়ির বাইরে ও ভিতর সবটাই মেসি এবং আর্জেন্তিনাকে ঘিরে। ভক্ত এমনও হতে পারে তার উদাহরণ হল ইছাপুর নবাবগঞ্জের শিবশংকর পাত্র। শিবশংকরের এই ভালোবাসায় পাড়াটাও যেন আর্জেন্তিনা হয়ে গিয়েছে। তাঁর চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আছে মেসি, দোকানের রং নীল সাদা। এমনকী, শুধু দোকান নয়। তাঁর বাড়ির গোটাটাই নীল সাদা। ঘরের ভিতরে আলমারি থেকে শোকেস, সিলিং ফ্যানটাও নীল সাদা। ঘরের দেওয়ালে চারিদিকে রয়েছে মেসির ছবি।
শিবশংকর সবসময়ই মেসির ১০ নম্বর জার্সি পরে থাকেন। এই ভালোবাসা যদি পাগলামো হয় তাহলে পাগলামো। কিন্তু, শিবশংকর আগাগোড়াই আর্জেন্তিনার ভক্ত। আর যখন থেকে মেসি দলের দায়িত্বভার নিয়েছেন তখন থেকে মেসির ভিক্ত তিনি। মেসির জন্মদিনে কেক কাটা থেকে কোনও খেলায় তাঁর জয় পাওয়ার পর সেলিব্রেশন সবটাই উদযাপন করেন শিবশংকর। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না পাত্র স্বামীর এই পছন্দকে সব সময় সমর্থন করে গিয়েছেন।
তাঁর এই অন্ধ ভালোবাসায় পাড়ার নাম পরিবর্তন হয়ে মিনি আর্জেন্তিনা নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিনি আর্জেন্তিনা যে কাউকে বললে বলে দেবে ঠিকানা। প্রথমে বাড়িটার বাইরে নীল সাদা রং করা হয়েছিল। তারপর ২০১১ সালে মেসির আসার পর থেকে ধীরে ধীরে গোটা বাড়ির ভিতর বাইরে আর্জেন্টিনার রঙে রাঙিয়ে তোলেন তিনি। মেয়ে নেহা পাত্র বাবার এই বিষয়টিকে পাগলামো বলে মনে করেন। আর বাবার সেই পাগলামো ধীরে ধীরে প্রবেশ করেছে তার মধ্যেও। ওয়ার্ল্ড কাপের কোনও খেলা মিস করে না নেহা। ঠিক তেমনই ফুটবলকে ঘিরে কোনও কিছু মিস করতে চায় না। তা সে ক্লাব ফুটবল হোক কি বিশ্বকাপ। আর্জেন্তিনার খেলার দিন পুজো দিয়ে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা সবটাই করা হয় পাত্র বাড়িতে। বাড়ির ঠাকুরের আসনটাও আর্জেন্টিনার রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন শিবশংকর।
শিবশংকরের হাত ধরেই মিনি আর্জেন্তিনা পাড়া এখন সবার পরিচিত পাড়া হয়ে উঠেছে। শিবশংকর যতদিন বাঁচবেন ততদিন আর্জেন্তিনার ভক্ত হয়েই থাকতে চান এবং তাঁর নীলাসাদা রঙে নিজেকে রাঙিয়ে রাখতে চান। আর এতে পরিবারকে পাশে পেয়েছেন তিনি। মিনি আর্জেন্তিনা পাড়া বেঁচে থাকুক শিবশংকরকে সঙ্গে নিয়েই।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ