অভিযোগ, প্রশাসনের কছে বারেবারে আবেদন করেও কোনও কাজ না হয়নি৷ ফলে দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও সমস্যার কথা স্বীকার করে দ্রুত পানীয় জলের সমাধান হবে বলেই জানান উপপ্রধান৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামচন্দ্রপুর গ্রামেরই বেরা পাড়ায় প্রায় ৫৫ টির মতো পরিবারের বাস। একটি মাত্র টিউবঅয়েল থেকেই পানীয় জল নিয়ে দরিদ্র পাড়ার মানুষগুলোর কাজ চলছিল৷ হঠাৎ করেই এক বছর আগে ওই টিউবঅয়েল খারাপ হওয়ার কারণেই এলাকার মানুষজন তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে পড়েছেন বলে দাবি। এলাকাবাসীদের দাবি, প্রায় এক বছর ধরে তীব্র পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন তাঁরা৷ অন্যের বাড়ি থেকে জল বা কৃষিকাজে ব্যবহৃত মাঠের পাম্প থেকে জল এনে পানীয় হিসাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
গ্রামের যুবক মন্টু বেরার দাবি, “এই পাড়ার লোকজন অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক৷ গত নির্বাচনেও তৃণমূল এই পাড়া থেকে তেমন ভোট পায়নি৷ কিন্তু রাজ্যে যেহেতু শাসকদল তৃণমূল, তাই তাদের সমর্থন না করায় ওরা এভাবেই আমাদের জব্দ করতে চাইছে৷” তাঁর দাবি, একবছর আগে গ্রামে বসানো হয়েছিল সজল দ্বারা প্রকল্প৷ আর এই সজল ধারা প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কিছু টাকা কম পড়ায় বাড়ি বাড়ি ১৭০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এক বৎসর কেটে গেল সজল ধারার বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি বলে অভিযোগ। কিশোর ভুঁইয়া নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “পঞ্চায়েতে লিখিতভাবে জানিয়েছি৷ আমাদের রাস্তারও এত খারাপ অবস্থা যে চলাচল করা কঠিন৷”
অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এমনকি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও পানীয় জলের সুরাহা হয়নি। আর এতেই তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষজন। দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিনে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন গ্রামের মানুষজন। এলাকার মানুষদের সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ৷ উপপ্রধান বিশ্বজিৎ বারিক বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি রামচন্দ্রপুর গ্রামে একটি টিউবঅয়েল বেশ কিছুদিন ধরে খারাপ হয়ে আছে৷ তাঁদের অনেক দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হচ্ছে৷ এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক৷ আমি নিজে গিয়ে এলাকাবাসীকে কথা দিয়ে এসেছি, পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে গ্রামের পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে৷”