এদিন দফায় দফায় বিক্ষোভ স্লোগানে সামিল হন শতাধিক মহিলা। এদিন মহিলাদের সঙ্গে হাজির স্থানীয় CPIM নেতৃত্ব৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ (Samsherganj Police Station) বাহিনী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা সঠিকভাবে তৈরি, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দুঃস্থ বঞ্চিতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে BDO অফিসে সামনে বিক্ষোভ দেখান অসংখ্য মহিলা৷ মহিলাদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন CPIM নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন CPIM র ধূলিয়ান এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোদাস্সার হোসেন, সিটু নেতা মহম্মদ আজাদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মহিলাদের সঙ্গে সরব হয়ে আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন বাম নিয়ন্ত্রিত আশা কর্মী সংগঠন। যোগ্যদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি তোলা হয় এদিনের সভা থেকে। অযোগা ব্যক্তিরা আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছে বলেও দাবি করেন বিক্ষোভকারী মহিলারা৷ মহিলাদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে BDO অফিস চত্ত্বর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিনের বিক্ষোভে সামিল হওয়া জোতকাশী এলাকার এক মহিলা নাজমা বিবি বলেন, “পাঁচ বছর আগে BDO অফিস থেকে দু’জন গিয়ে ছবি তুলেছিল৷ কোনও কাগজপত্র নেয়নি, শুধুই ছবি তুলেছিল৷ অথচ আজও তালিকায় নাম নেই আমার৷ যাদের পাকা বাড়ি আছে, তাদের বাড়ির টাকা দিচ্ছে৷ দোতলা-তিনতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বে অনেকে টাকা পেয়েছে ঘর করার৷ অথচ আমার বাড়ি ভেঙে পড়ছে, তা সত্ত্বেও আমি টাকা পাচ্ছি না৷”
বিক্ষোভকারী ষষ্ঠী সিংহ বলেন, “প্রশাসনের তরফে আমাদের বাড়িতে যায়নি কেউ৷ ছবিও তোলা হয়নি৷ যাদের ঘর আছে, তারাই পাচ্ছে৷ যারা পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছে না, অযোগ্যরা পেয়ে যাচ্ছে৷ আমাদের ঘরবাড়ি দেখে যদি মনে হয় আমরা যোগ্য তাহলেই টাকা দেবে টাকা, নাহলে দেবে না৷ কিন্তু তার জন্য গিয়ে দেখতে হবে৷ আমরা গরিব ঘর বানানোর টাকা নেই বলেই তো এসেছি৷”