আবাস যোজনার (Awas Yojona) বাড়ির তালিকায় প্রকৃত প্রাপকদের নাম নেই বলে অভিযোগ৷ অভিযোগ, তালিকা থেকে বাদ পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার দাসপুরে সড়বেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাতারপুর গ্রামের ৪০ থেকে ৫০ টি পরিবার। আর এতেই তীব্র ক্ষোভে ইতিমধ্যে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আবাস যোজনা প্রকল্প থেকে কেন নাম বাদ গেল, রাজ্য সরকারের কাছে তার জবাব চেয়ে গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে পড়ল একাধিক পোস্টার। তবে কে বা কার পোস্টারগুলো লাগিয়েছে তা জানা যায়নি৷ খবর পেয়ে গ্রামে ঘুরে পোস্টারগুলি দেখে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ গ্রামের লোকজনও পোস্টারের বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেছেন৷
লক্ষ্মী নায়েক, মালতি বদড়া, শুকদেব বদড়া, তারকনাথ জানাদের অভিযোগ, তাঁরা এই এলাকার ভোটার, ভোট দেন, রয়েছে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, বাড়িতে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মাটির কুঁড়ে ঘরে বসবাস করছেন৷ প্রশাসনের তরফ থেকে কখনও কোনওরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। তার ওপর আবাস যোজনার প্রকল্পের তালিকায়ও নাম না নেই৷ তাঁরা বলেন, “জানি না কেন আমরা এই সরকারি সুবিধা থেকে কেন বঞ্চিত হলাম।” শাসক দলের নেতা থেকে প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলেও দাবি আদিবাসী পরিবারগুলির। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের বাসিন্দারা৷
এ বিষয়ে দাসপুর সরবেড়িয়া এলাকার CPIM নেতা প্রবীর সামন্তের দাবি, দাসপুরের তাতারপুর এলাকার বহু আদিবাসী ও দরিদ্র পরিবারকে আবাস যোজনা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এমনকি যাদের দোতালা, তিনতলা, বাড়ি আছে, তাদের আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম এসেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এই প্রসঙ্গে দাসপুরের এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিকের দাবি, কিছু কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের নিজস্ব জায়গায় নাম থাকার জন্যই একটু সমস্যা হচ্ছে। এমনকি যেই সমস্ত মানুষের এখনও নাম নথিভুক্ত হয়নি আবাস যোজনায়, পুনরায় তালিকা করে তাদের নাম পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান, BDO কে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।