চারতলা বাড়ি রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের। কিন্তু, তা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় নাম রয়েছে তাঁর। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনার সাক্ষী গোপালনগর বৈরামপুর পঞ্চায়েত।

হাইলাইটস
- 4 তলা বাড়ি থেকেও আবাস যোজনায় নাম TMC পঞ্চায়েত প্রধানের
- এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়
- এমনই ঘটনার সাক্ষী গোপালনগর বৈরামপুর পঞ্চায়েত
অভিযোগ, গোপালনগর বৈরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রধান তনুজা খাতুন মোল্লা সহ তাঁর আত্মীয়র নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃদ্ধ সহ পঞ্চায়েতের দিন আনা দিন খাওয়া বহু গরিব মানুষের নাম নেই আবাস যোজনা তালিকায়। জানতে চাইলে বলা হয় পরে আসবে। অথচ পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রধানসহ তাঁর আত্মীয় পরিজনদের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধানের স্বামী তথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হায়দার আলি মোল্লা।
হায়দার আলি মোল্লা বলেন, “ভুলবশত কিছু নাম উঠে থাকতে পারে। তবে সব কেটে দেওয়া হয়েছে৷ আমার স্ত্রী তনুজা খাতুনের নামে আরও একজন মহিলা আছেন গ্রামে। হয়তো অন্য কোনও তনুজা খাতুনের নাম রয়েছে তালিকায়।” এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়টি মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, প্রধানের নাম কেন থাকবে আবাস যোজনার তালিকায়। এই নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মানুষ।
এখানেই শেষ নয়। আরও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, যাঁরা একবার করে টাকা পেয়েছেন তাঁদের নাম দ্বিতীয় বারও এসেছে। আর যাঁদের প্রকৃত দরকার তাঁদের নাম নেই। বারবার আবেদন জানানোর পরেও সেই নাম তালিকায় তোলা হচ্ছে না। এমনকী, শৌচালয়ের জন্য আবেদন জানিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানে স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি পাকা বাড়ি আছে এমন মানুষের নাম এসেছে। কিন্তু, তা জানার পরই নাম কেটে দেওয়া হয়। যদিও এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ। যাঁদের প্রকৃত বাড়ির প্রয়োজন রয়েছে তাঁরাই বাড়ি পাচ্ছেন না।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ