পুলিশ ও স্থানী সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় চোপড়ার দাসপাড়া এলাকা থেকে একটি ছোট গাড়িতে করে কাঁচা চা পাতা নিয়ে যাওয়ার সময় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর আচমকা ওই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গোটা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। গাড়িতে তিনজন ছিলেন৷ আগুন লেছে দেখে, তিনজনই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং গাড়ি থেকে নেমে যান তৎক্ষণাৎ৷ ফলে কেউ হতাহত হননি বলেই জানা গিয়েছে৷ আগুনের লেলিহান শিখা দেখে খবর দেওয়া হয় দমকলে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাড়ির চালক পঞ্চানন সিংহ বলেন, “ইঞ্জিনে কীভাবে আগুন লাগল সেটা বুঝতেই পারিনি৷ চলন্ত গাড়িতেই আগুন ধরে যায়৷ গাড়িতে আমরা তিনজন ছিলাম৷ আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেই তিনজন গাড়ি থেকে নেমে যাই৷ ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি৷” তবে ওভারলোড থাকলেও, তার জন্য অগ্নিকাণ্ড হয়নি বলেই দাবি চালকের৷ স্থানীয় বাসিন্দা রণতোষ দাস বলেন, “গাড়ির নীচে থাকা ইঞ্জিনের কোনও তার শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগেছে বলেই মনে হচ্ছে৷ স্থানীয় মানুষজন চেষ্টা করেছিলেন, গাড়িটি পালটি খাইয়ে যদি চা পাতাগুলো বাঁচানো যায়৷ কিন্তু সম্ভব হয়নি৷ দাসপাড়া থেকে গাড়ি যাচ্ছিল এবং বিধাননগর ফ্যাক্টরিতে গিয়ে চা পাতা নামানোর কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই উড়ালপুলে গাড়িতে আগুন লেগে যায়৷”
অগ্নিকাণ্ডে গাড়িটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ (Chopra Police Station)। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ইঞ্জিনের কোনও তার থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগেছে গাড়িটিতে৷ তবে ঠিক কী কারণে অগ্নিকাণ্ড, তা জানতে গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে চোপড়া থানার পুলিশ (Chopra Police Station)৷