জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রেফারিং বিতর্ক কিছুতেই আর্জেন্টিনার (Argentina) পিছু ছাড়ছে না। নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) বিরুদ্ধে রেফারি আন্তোনিও মাতেউ লহোজ (Antonio Mateu Lahoz) মোট ১৮টি হলুদ কার্ড দেখিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। ম্যাচের পরেই লহোজকে একহাত নেয় আর্জেন্টিনীয় শিবির। সেমি ফাইনালে এবার রেফারি ড্যানিয়েল ওরসাতোর (Daniele Orsato) বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর তোপ দাগল ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। লিওনেল মেসিদের (Lionel Messi) কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন লুকা মদ্রিচ (Luka Modric)। ইতালির এই রেফারি-কে ‘জঘন্যতম’ বলে দিলেন এই তারকা ফুটবলার।
ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন লুকা মদ্রিচ। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই বিতর্কিত মুহূর্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক সটান বলেন, ‘পেনাল্টি দেওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা ভালোই খেলছিলাম। আমার মতে ওটা মোটেই পেনাল্টি নয়। আমি সাধারণত রেফারিং নিয়ে মন্তব্য করি না। তবে এবার নিজেকে সামলাতে পারলাম না। অন্যতম জঘন্য রেফারি ড্যানিয়েল ওরসাতো। শুধু এই ম্যাচ নিয়ে বলছি না। অতীতেও ওর রেফারিংয়ে খেলেছি। কখনই ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি।’ মদ্রিচ এরপর ফের যোগ করেন, ‘ড্যানিয়েল ওরসাতো ভয়ঙ্কর রেফারি। একা দায়িত্ব নিয়ে কোনও দলকে হারিয়ে দিতে পারে। আর্জেন্টিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ওঁদের কৃতিত্ব খর্ব করতে চাই না। ওঁরা ফাইনালে খেলার মতই খেলেছে। তবে প্ৰথম পেনাল্টিটা আমাদের ধ্বংস করে দিল।’
যদিও ক্রোয়েশিয়ার কোচ জাল্টকো দালিচ অবশ্য রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ দেখাতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘ফাইনালে ওঠার জন্য আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন। মাঝেমধ্যে ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকে, মাঝেমধ্যে থাকে না। ফুটবল এমনই। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
প্রথমার্ধে ৩৪ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের দৌলতে পেনাল্টি আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা। এগিয়ে এসে বল ধরতে গেলে আলভারেজের সঙ্গে ডমিনিক লিভাকোভিচ মৃদু ধাক্কা হয়। ওরসাতো সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখান ক্রোয়েট গোলকিপারকে। সেখান থেকে নীল-সাদা জার্সিধারীদের এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি।