সুমিতা সরকার নামে বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, “সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ আমাদের এই বিক্ষোভ। সিবিআই ভারতের মেরুদণ্ড, মানুষের আশা ভরসা। একটা দলের নির্দেশে বাংলার বিরুদ্ধে এই এজেন্সিকে ব্যবহার করে শান্তি শৃঙ্খলা নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে লালন শেখ সিবিআই হেফাজতে মারা গেল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। লালনের মৃত্যুর কারণ না জানা অবধি বিক্ষোভ চলবে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে পথে নেমেছি।”
আরেক বিক্ষোভকারী শুভজিৎ মজুমদার বলেন, “এটা দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের জমায়েত। যে যে রাজ্যে বিরোধী দলের সরকার, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি সিবিআইকে তোতাপাখির মতো ব্যবহার করছে। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর ঘটনাকে আমার তীব্র ধিক্কার জানাই। সিবিআই হেফাজতে বিজেপি বিরোধী যে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা নিরাপদ নয়। লালনের স্ত্রী দাবি করেছেন, সিবিআই ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আনুক। এখানে সিবিআইয়ের ক্যাম্প রয়েছে, তাই এখানে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”
সোমবার সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সিবিআই আধিকারিকদের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে আত্মহত্যা করেছে লালন। মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তাঁর দাবি, মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছে। লালনের স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।